মুম্বই: গোয়ায় (Goa Election 2022) বিজেপিকে (BJP) রুখতে তৃণমূল (AITC) এবং কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোটের কথা ভাবছে এনসিপি (NCP)। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, দুই দলের সঙ্গে আলোচনাও চালাচ্ছেন তারা। ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় নির্বাচন। ভোটের এক মাস আগে এই জোট আদৌ তৈরি হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তিন দল এক ছাতার তলায় এসে লড়লে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিজেপি।
তৃণমূলের গোয়ার পর্যবেক্ষক সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট থেকেই গোয়ায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের জল্পনা শুরু হয়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, গোয়ায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরমও জোটের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেছিলেন, কোনও দল যদি বিজেপিকে হারাতে আমাদের সমর্থন করতে চাইলে না বলার প্রশ্ন নেই। এদিন শরদ পাওয়ার বললেন, ‘তৃণমূল, এনসিপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা পছন্দের আসন তাদের দিয়েছি। শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এনসিপি প্রধান বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি। গোয়ার পরিবর্তন দরকার। বিজেপি সরকারের পরিবর্তন করা দরকার।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোয়ায় কংগ্রেসকে ভেঙেই সংগঠন বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো সহ একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। গোয়ার নেতারা তৃণমূলের হাত ধরতে রাজি হবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: TMC slams Congress: বিজেপির রাস্তা সহজ করছে কংগ্রেস, ফের সোনিয়াদের আক্রমণ তৃণমূল মুখপত্রে
গোয়ার কংগ্রেস নেতা দীনেশ আর গুন্ডু রাওয়ের মন্তব্যেও তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট। সোমবার তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না৷ তৃণমূল আমাদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে দলে নিয়েছে। এখন সেই বিধায়করাই জোট চাইছেন।’ সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গোয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের পর কংগ্রেসের তরফে জোটের সম্ভাবনায় জল ঢালার মতো মন্তব্য করা হয়নি।
দেশের বিজেপি বিরোধী নেতাদের মধ্যে অন্যতম শরদ পাওয়ার। বর্ষীয়ান এই নেতার সঙ্গে তৃণমূল এবং কংগ্রেস, দুই দলেরই সম্পর্ক ভালো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি মুম্বই গিয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকও করেন। আবার রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো শরদের। ফলে তিনি উদ্যোগী হয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে এক ছাতার তলায় আনতে পারলে, গেরুয়া শিবিরের দুঃশ্চিতা বাড়বে বই কমবে না।