কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক (Hijab Row Karnataka) উড়িয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের (Karnataka High Courts) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেয়, শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরা ধর্মের জন্য অপরিহার্য নয়। হাইকোর্টের এই রায়ে মোটেই খুশি নন উদুপি কলেজের পড়ুয়ারা। তাই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদুপি কলেজের পাঁচ পড়ুয়া। হিজাব বিতর্কে (Hijab Verdict) কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই তরুণীরা বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। মনে হচ্ছে, নিজের দেশ আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই তরুণীরা আরও জানান, হিজাব নিয়ে যে ঝড় উঠেছে (Karnataka Hijab Ban), তা প্রথম ধাপেই ক্যাম্পাসের মধ্যে সমাধান করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে এই প্রসঙ্গ এখন রাজনৈতিক স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোরানে স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে, একটি মেয়ে অবশ্যই তার মাথা এবং বুক ঢেকে রাখবে। তাই আমরা হিজাব চাই। হিজাব ছাড়া কিছুতেই কলেজে আসব না।
#HijabVerdict | "It is total injustice what we got today. We had so much hope in our judicial system, society, but we feel we've been betrayed by our own country": Petitioners in the Hijab case pic.twitter.com/gfy8jC0qCF
— NDTV (@ndtv) March 15, 2022
এদিন কর্নাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) স্পষ্ট করে দিয়েছে যে হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকতেই পারে। এই প্রসঙ্গে ওই পাঁচ তরুণীর বক্তব্য, কোরানে উল্লেখ আছে বলেই আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়ছি। যদি না থাকত, তা হলে কখনোই এই লড়াই আমরা করতাম না।
কর্নাটক সরকার ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই সে রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বিক্ষোভ-পালটা বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কর্নাটক।
আরও পড়ুন: Hijab Row Karnataka : কর্নাটক হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, হিজাব বিতর্ক এবার সুপ্রিম কোর্টে
গোলমালের আশঙ্কায় কর্নাটক সরকার বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজধানিতে।১৪৪ ধারা (Bengaluru 144 Section) জারি বেঙ্গালুরুতে।৮ কোম্পানি কেএসআরপি, ৬ কোম্পানি জেলা সশস্ত্র বাহিনী এবং এক কোম্পানি ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে সব ধরনের জমায়েত, আন্দোলন, বিক্ষোভ বা অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকবে।