নয়াদিল্লি: ‘সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধি’ নাকি রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ? কেন্দ্রের নতুন সমবায় মন্ত্রক তৈরির পর এ নিয়ে চরমে সরকার-বিরোধী কাজিয়া৷
নতুন সমবায় মন্ত্রক তৈরি করেছে কেন্দ্র৷ মন্ত্রকের মাথায় বসানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে৷ সরকারের বক্তব্য, সমবায় আন্দোলনকে মজবুত করতেই এই উদ্যোগ৷ যদিও কেন্দ্রের নয়া মন্ত্রক তৈরির পিছনে অন্য গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বিরোধীরা৷ তাঁদের মতে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সিদ্ধান্তের পরিপন্থী৷ আসন্ন বাদল অধিবেশনে এ নিয়ে সরকারকে চেপে ধরতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা৷
আরও পড়ুন: দিলীপের ‘খাসতালুক’-এ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি পুলিশের
সমবায় মন্ত্রক তৈরির পর প্রথম সরব হয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ ট্যুইট করে বলেছিলেন, সংবিধানের সপ্তম তফশিল অনুযায়ী সমবায় রাজ্যের বিষয়৷ কেন্দ্র এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷ একই সুরে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেসও৷ দলের নেতা রমেশ ছেন্নিথালা বলেন, ‘সমবায় আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ৷ সমবায় আন্দোলনের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে চায় বিজেপি সরকার৷ সেই জন্য অমিত শাহকে মন্ত্রকের মাথায় বসিয়েছে৷ সংবিধানের সপ্তম তফশিল অনুযায়ী কোঅপারেটিভ রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত৷ আইন সংশোধন না করে কীভাবে নতুন মন্ত্রক তৈরি করল সরকার?’ সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার বক্তব্য, ‘নতুন মন্ত্রকের উদ্দেশ্য কী সেটা স্পষ্ট করে জানাতে হবে কেন্দ্রকে৷ তবে অমিত শাহকে দায়িত্বে বসিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷’ আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন৷ বিরোধীদের আগ্রাসী মনোভাব দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এই ইস্যুতে সংসদ এবার উত্তাল হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান! পিএসি’র চেয়ারম্যান মুকুল রায়
উল্টোদিকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা৷ বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে লেখেন, ‘বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী সমবায় মন্ত্রক গঠন করায় আমি নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ৷ এতে ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ ভাবনার প্রসার ঘটবে৷ তৃণমূলস্তরে পৌঁছে যাবে সমবায়৷ গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে৷’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ির একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু কেন্দ্রীয় স্তরে সমবায় মন্ত্রক তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, রাজ্যের যেমন আলাদা সমবায় দফতর আছে তেমনই পৃথক সমবায় মন্ত্রক গড়ুক কেন্দ্রীয় সরকার৷