ফিরোজাবাদ: কথায় বলে, রাখে হরি মারে কে! এ কেবলই কথার কথা নয়। চালু প্রবাদ বলে এড়িয়ে যাওয়ার উপায়ও নেই। চলার পথে এমন কিছু ঘটনা কখনও কখনও ঘটে যায়, চাক্ষুষ করলে (Firozabad Viral Video) বিস্মিত না-হয়ে উপায় থাকে না।
বিস্মিত হতে হয়, কারণ সচরাচর এমনটা ঘটে না। কেউ কেউ এই বিস্ময়ের ব্যাখ্যা দেন– ‘কপাল জোর’। ভাগ্যে বিশ্বাস থাক বা না-থাক, মানুন ছাই নাই মানুন, যিনি নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে স্বস্তির শ্বাস ফেলেন, তাঁর কাছে ভাগ্যের দোহাই ছাড়া আর কোনও ব্যাখ্যা থাকে না। ভাগ্য সাথ না দিলে, এ ভাবে বেঁচে ফেরা যায় না।
এত গৌরচন্দ্রিকা না-করে, আসল কথায় আসা যাক। গোমতী এক্সপ্রেসে (Gomti Express) উঠতে গিয়ে, তাড়াহুড়োয় এক মহিলা স্টেশন প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ফাঁকে পড়ে যান। এক্সপ্রেস ট্রেনটি ততক্ষণে ছেড়েও দেয়। স্টেশনে (Firozabad Railway Station) উপস্থিত লোকজন ‘গেল গেল’ রব তুললেও সেই উত্কণ্ঠার স্বর চালক বা গার্ডের কাছে পৌঁছেছিল কি না, জানা নেই। বা পৌঁছলেও সিগন্যালের যান্ত্রিক নির্দেশ না-পাওয়া পর্যন্ত ট্রেন থামবেই না কেন। অগত্যা, গোমতী এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে বেরিয়া না-যাওয়া পর্যন্ত উত্কণ্ঠার অপেক্ষা ছাড়া লোকজনের উপায়ও ছিল না।
আরও পড়ুন: Matua Baruni Mela: ভক্তদের ভিড় ঠাকুরনগরে, মতুয়া মেলার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ট্রেনে উঠতে গিয়ে এ ভাবে পড়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এমন দুর্ঘটনা আকছার না হলেও ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিণতি মর্মান্তিক হয়। ট্রেনের চাকা ফালাফালা করে দিয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের এই ঘটনায় মহিলা কিন্তু বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান মহিলা। তিনি যে বেঁচে রয়েছেন, এটা বিশ্বাস করতেই কিছুটা সময় লেগে যায় তাঁর। স্টেশনের সহযাত্রীরাই তাঁকে হাত ধরাধরি করে তুলে আনেন।
শেষ পর্যন্ত অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সাক্ষী তাঁদের হতে হয়নি, এতেই স্বস্তিতে সহযাত্রীরা। সাক্ষাৎ যমের দুয়ার থেকে ফিরে, মহিলার ট্রমাভরা মুখেও একচিলতে হাসি। তা যে জীবন ফিরে পাওয়ার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনাদের জন্য রইল সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো।