লখনউ: কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। রবিবার মুজফফরনগরের মহাপঞ্চায়েত থেকে এই সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষক নেতারা। কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এতো বড় সমাবেশ আগে হয়নি, দাবি কৃষক সংগঠনগুলির। কৃষক নেতাদের কথায়, কেন্দ্র বলছে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষকই প্রতিবাদ করছে। তারা দেখা যাক কতজন প্রতিবাদ করছে। আসুন আমরা আমাদের আওয়াজ তুলি, যাতে এটি সংসদে এই শব্দ পৌঁছয়।
রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরী টুইটে অভিযোগ করেন, প্রশাসন সমাবেশে হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি ঝরানোর অনুমতি দেয়নি। মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন। তাঁদের উপর ফুল বর্ষণ করে অভিবাদন জানাতে চেয়েছিলাম। ডিএম, এডিজি, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট, মুখ্যসচিব, সিএম- সবাইকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা অনুমতি দিচ্ছে না! কৃষকদের নিয়ে কী বিপদের আশঙ্কা করছে সরকার? সমাবেশে রাকেশ টিকায়েত সহ শীর্ষস্থানীয় কৃষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেপ্টেম্বরেই আন্দোলনের ১০ মাস পূর্ণ হতে চলেছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হলেও তা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তাই সমাধান সূত্র বের করতে বৃহত্তর আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষকেরা। আগামী বছরের গোড়ায় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যোগী সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই মহাপঞ্চায়েত, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সভার