রাঁচি: ঝাড়খণ্ডে বড় ধাক্কা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের৷ তাঁর বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের সুপারিশ জানিয়ে রাজ্যপাল রমেশ বৈশকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে লাভজনক পদের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠায় বিজেপি৷ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চান রাজ্যপাল রমেশ বৈশ৷ রাজ্যপালের চিঠির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে৷ সেই সুপারিশ কার্যকর হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে হেমন্ত সোরেনকে৷
যদিও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না৷ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট এবং বিজেপি নেতাদের বিবৃতি মারফত বিষয়টি জানতে পেরেছেন৷ গোটা ঘটনাটিকে বিজেপি এবং পেটোয়া কয়েকজন সাংবাদিকের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ টুইটে হেমন্ত লেখেন, ‘সাংবিধানিক সংস্থানকে কেনা যেতে পারে৷ কিন্তু জনসমর্থন কী করে কিনবে? ঝাড়খণ্ডের হাজার মেহনতি পুলিশ কর্মী এবং লাখ লাখ জনতার সমর্থন আমার বড় শক্তি৷ আমি প্রস্তুত৷’ অন্যদিকে নৈতিক কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি জানিয়ে বিজেপি নতুন করে নির্বাচনের দাবি তুলেছে৷ দলের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘বিধানসভা ভেঙে দিয়ে আবার ৮১টি আসনে নির্বাচন করতে হবে৷’ ঝাড়খণ্ডের জেজেএম সরকারের শরিক দল কংগ্রেস৷ এদিন বিতর্কের পর কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগীর আলম দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি৷ খামবন্দি রিপোর্টের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না৷ আমরা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে৷’
হেমন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নামে পাথরের খনি রয়েছে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী লাভজনক পদের অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ৷ তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হলে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও ইস্তফা দিতে হবে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে ফের নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে৷ কাজেই ছয় মাস সময় এখনও আছে হেমন্তের৷ অন্যদিকে একটি সূত্রের দাবি, হেমন্তের স্ত্রী কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে৷ কংগ্রেস অবশ্য হেমন্তকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে চাইছে৷ দলের নেতা আলমগীর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে হেমন্তকেই চাই৷ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যা আছে৷ সরকার চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না৷’