নয়াদিল্লি : সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করল কেন্দীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আগামী ৮ জুন মা ও ছেলেকে তলব করেছে ইডি। ২০১৫ সালে মামলাটি বন্ধ করে দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।
এই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা শুরু হয় ১৯৪২ সালে। সে সময় ব্রিটিশরা তা দমন করার চেষ্টা করে। আজ মোদি সরকারও একই কাজ করছে। এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে। ৮ জুন সোনিয়া গান্ধী ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রাহুল গান্ধী এখন বিদেশে রয়েছেন বলে ৮ জুন হাজিরা দিতে পারবেন না। তাঁর তরফে ইডির কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
ED summons Sonia Gandhi, Rahul in National Herald case
Read @ANI Story |https://t.co/7RLuJFdPUz#SoniaGandhi #RahulGandhi #DirectorateEnforcement#EDsummonsSoniagandhi #SatyendarJain pic.twitter.com/nRo04M1NFP
— ANI Digital (@ani_digital) June 1, 2022
অভিষেক বলেন, এই মামলার কোনও সারবত্তা নেই। কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করবে। তিনি আরও বলেন, এটি টাকা নয়ছয়ের এমন এক আশ্চর্যজনক মামলা, যার সঙ্গে টাকা-পয়সার কোনও সম্পর্কই নেই।
ইডি সূত্রের খবর, টাকা নয়ছয়ের মামলায় গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যের বয়ান রেকর্ড করা হবে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। কংগ্রেস নেতৃত্ব ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বদ্ধ পরিকর। এটি কংগ্রেসের কাছে অন্যরকমের মর্যাদার লড়াই বলে নেতৃত্বের দাবি। এই মামলায় সম্প্রতি ইডি মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন জয়সওয়ালের মতো কংগ্রেস নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আরও পড়ুন: Aligarh Professor: কলেজ-মাঠে নমাজ পাঠ, আলিগড়ের অধ্যাপককে পাঠানো হল ৩০ দিনের ছুটিতে
ন্যাশনাল হেরাল্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেন জওহরলাল নেহরু। এটি আগে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হত। তার মালিকানা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে। এই পত্রিকা নিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্ক চলছে। ২০১৪ সালের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর তা নিয়ে নতুন করে জল ঘোলা শুরু হয়। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আদালতে অভিযোগ জানান, যে সংস্থার হাতে এই সংবাদপত্রের মালিকানা ছিল, বাজারে তাদের প্রায় ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল। ওই টাকার বেশিরভাগ অংশই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালে এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। তখন মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বিপুল টাকার সম্পত্তি বকলমে কংগ্রেসের দখলে চলে আসে। স্বামীর আরও অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডে সোনিয়া এবং রাহুলের ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তা নিয়েই এখন নতুন করে মামলা চলছে।
কংগ্রেসের দাবি, রাজনৈতিক কারণে বিজেপি কংগ্রেস নেতাদের হেনস্তা করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই মামলাটি নতুন করে চালু করেছে বিজেপি। অভিষেক বলেন, আমরা সবদিক থেকে এর মোকাবিলা করব।