কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ছেলের মৃত্যুর বিচারে চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে তালিবানের (Taliban) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল দানিশ সিদ্দিকীর (Danish Siddiqui Case) বাবা-মা। ২০২১ সালের ১৬ জুলাই আফগানিস্তানের কন্দাহারে পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তালিবানের দিকেই। যদিও খুনের কথা অস্বীকার করে তালিবান। যদিও দানিশের পরিবারের দাবি, তালিবানই খুন করেছে তাদের ছেলেকে। তালিবানের ৬ নেতা ও সংগঠনের অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দানিশের পরিবার। মঙ্গলবার দানিশের পরিবারের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়।
দানিশের পরিবারের আইনজীবী অভি সিং জানিয়েছেন, দানিশ ভারতীয় সাংবাদিক হওয়ার কারণেই তালিবানরা তাঁকে টার্গেট করেছিল। ৩৮ বছর বয়সী দানিশ গত বছর কন্দাহার শহরের স্পিন বোল্ডাক জেলায় আফগান সেনা ও তালিবানদের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থায় কাজ করতেন তিনি। দানিশের বাবা আখতার সিদ্দিকি ও মা শাহিদা সিদ্দিকি আইসিসি-র প্রসিকিউটারের সহায়তায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখুন্দ ও উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বরাদর সহ বেশ কয়েকজনের নাম অভিযোগপত্রে রয়েছে।
আইনজীবী অভি সিং জানিয়েছেন, দানিশ সিদ্দিকীর বাবা-মা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুক্তি দিয়েছেন, তাঁদের ছেলেকে তালিবান ইচ্ছাকৃত টার্গেট করেছিল। কারণ দানিশ একজন চিত্রসাংবাদিক ছিলেন। তাছাড়াও একজন ভারতীয় নাগরিক হওয়াও তাঁর অপরাধ ছিল। দানিশের পরিবারের বক্তব্য, ছেলেকে হত্যা করার আগে বন্দি করা হয়। তার পর শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এর পর খুন করা হয়। পুরো বিষয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধও বটে। সেকারণেই তালিবানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এহেন অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: তালিবান সংঘর্ষের মুখে পড়ে কান্দাহারে নিহত ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক
Press Release from Danish Siddiqui's Family regarding filing ICC petition pic.twitter.com/Ul66rvdyvO
— Danish Siddiqui (@dansiddiqui) March 22, 2022
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দানিশের পরিবারের অভিযোগে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত-আইনের তোয়াক্কা যে তালিবান করে না, তা আগেই মালুম হয়েছে। এই অভিযোগ অনেকটাই প্রতীকী। অর্থাৎ, এই অভিযোগের ফল না পাওয়া গেলেও গোটা বিষয়টি তালিবানের উপর কিছুটা হলেও চাপ সৃষ্টি করবে। আন্তর্জাতিক নানামহল এই বিষয়ে কী অবস্থান নেয়, সেটাই এখন দেখার।