নয়াদিল্লি : লালকেল্লা হিংসা মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারি এড়াতে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। গ্যাংস্টার থেকে সমাজকর্মী হয়ে ওঠা লখা সিধানাকে এই সুরক্ষার নির্দেশ দেওয়া হল। গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লির তিস হাজারি আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে আগাম জামিনের জন্য দরবার করেন অভিযুক্ত লখা। আদালতে লালকেল্লা হিংসার ঘটনায় লখা সিধানার কোনও ভূমিকাই নেই বলে জোরদার সওয়াল করেন তাঁর কৌঁসুলি। আগামী ৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নিলোফার আবিদা পরভিন। ততদিন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার না করার জন্যও পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক পরভিন। লখার আগাম জামিনের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চায় পুলিশ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেন বিচারক।এর আগেও তিনি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেছিলেন সিধানা। তবে পঞ্জাবে তাঁর বিরুদ্ধে বহু মামলা চলছে। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। ২০১২ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেও হেরে যান তিনি।
এ বছরের ২৬ জানুয়ারি, লালকেল্লার সামনে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হন কৃষকরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় জুটে যান কয়েক লক্ষ কৃষক। কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। জনতাকে সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খায় পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লার ভিতর ঢুকে পড়ে। ধর্মীয় পতাকা নিয়ে কেল্লার মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ হিংসার আকার নেয়। ঘটনায় আহত হন বহু পুলিশকর্মী।