নয়াদিল্লি: জাতিগত অসাম্যের প্রেক্ষিতে সংরক্ষণ (Reservation) ব্যবস্থা আশার আলোকস্তম্ভ। অভিমত প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY chandrachud) । জাতপাত ব্যবস্থার শিকড় ঐতিহাসিকভাবে সমাজের গভীরে প্রোথিত। একইসঙ্গে তা জটিল বাস্তবতা এখনো বর্তমান। এর প্রভাব সূত্রে অর্থনৈতিক সুবিধা ভাগাভাগি হচ্ছে। বেঙ্গালুরুতে এক সভায় তাঁর মন্তব্য।
আইনের জটিল আবর্তেও অসাম্যের বীজ রয়ে গিয়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে সদর্থক পদক্ষেপ পরিস্থিতি সংস্কারের সুযোগ করে দেবে। আর তাহলেই সুপ্রাচীন অসাম্যের আগাছাকে উপড়ে ফেলা যাবে। যা হবে আশার অলোকস্তম্ভ। এই অভিমতও তিনি দেন।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে দুবাই না নিয়ে যাওয়ায় স্বামীকে ঘুষি মেরে খুন তরুণীর
এই প্রসঙ্গে তিনি উপজাতি সম্প্রদায়ের স্বাধীন সত্তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের নিজ এলাকার শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনও জ্ঞান আদর্শগতভাবে নিরপেক্ষ নয়। তা ক্ষমতার সঙ্গে শর্তসাপেক্ষ থাকে।
খেদ নিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক অক্ষমতার সার্টিফিকেট নিতে প্রতিবন্ধীরা বাধ্য। অন্যদিকে প্রতিবন্ধকতার মাপকাঠি ঠিক করতে হয় রাষ্ট্রকে। যে মাপকাঠির জন্য অনেকেই বাদ পড়ে যান। তারা পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চান। এখানেও আমাদের আত্মদর্শনের প্রয়োজন।
স্বাধীনতার এই বঞ্চনার সমাপ্তি ঘটাতে হলে পদ্ধতিগত বাধার প্রাচীর সরাতে হবে। বৈষম্যের শিকড় ওপড়াতে হবে। তাঁর অভিমত।
আরও খবর দেখুন