কলকাতা : স্ত্রীর অনিচ্ছায় সহবাস করলেই হবে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’। একইসঙ্গে বিবেচিত হবে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন।এমনটাই ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাইকোর্ট। বিবাহ বিচ্ছেদের মামালায় বৈবাহিক ধর্ষণকে অন্যতম কারণ দেখিয়ে আবেদন জানানো যাবে। ৬ বছর ধরে চলা একটি পুরনো মামলারই রায় দিতে গিয়ে এমনটা জানায় কেরল হাইকোর্ট। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সম্মতি ছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে শরীরিক সম্পর্ক ধর্ষণের সমান, তা নিয়ে কোনও মতবিরোধ থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন অল্প বৃষ্টিতেই ডুবল শহর, লকগেট খোলার পর খানিকটা স্বস্তিতে কলকাতার মানুষ
ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি এখনও দেশে স্বীকৃত পায়নি।ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে এই ‘অপরাধটি’ ফৌজদারি অপরাধ বলেও বিবেচিত হয় না। তাই দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বিবাহের পরে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। তাই এই ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতেই শুক্রবার এই সংক্রান্ত এক নতুন রায় দিল আদালত।
আরও পড়ুন আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গে হালাকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস
রায়ে বলা হয়, স্বামীর শারীরিক তৃপ্তি বা ইচ্ছা পুরণের জন্য স্ত্রীকে জোর করা হলে স্ত্রী সেক্ষেত্রে ডিভোর্সের মতন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে। তাঁর অস্বাভাবিক আচরণকে বৈবাহিক সম্পর্কের সাধারণ ঘটনা বলে মেনে নেওয়া যাবেনা। স্ত্রীর শরীরের উপর স্বামীর অতিরিক্ত কোনও অধিকার বর্তায় না। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী দুজনেরই সমান অধিকার রয়েছে। সোমবার বিচারপতি এ মহাম্মদ মুস্তাক এবং কাউসার এডাপাগাথের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। সেক্ষেত্রে করে শরীরিক সম্পর্ক ধর্ষণের সমান অপরাধ বলেই গৃহীত হবে।
আরও পড়ুন দলিতদের নেওয়াতেই মহিলাদের হকিতে হার অলিম্পিক্সে, বন্দনা কাটারিয়ার পরিবারকে কুৎসা