বলরামপুর: শিক্ষকেরা শুধু পড়াশোনা শেখান এমনটা নয়৷ তাঁদের দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক৷ তবে, তা নির্ভর করে ব্যক্তিত্ব-মানবিকতরা উপর৷ প্রমাণ ছত্তিশগড়ের বলরামপুর জেলার ঘটনা৷ লকডাউনে সেখানকার একটি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত ৮ কিমি পাহাড়ী পথ ভেঙে মিড-ডে-মিলের রেশন পৌঁছে দিচ্ছেন৷ যাতে পড়ুয়ারা অভু্ক্ত না থাকে৷
Chhattisgarh: Teachers in a remote village of Balrampur dist carry Mid-Day Meal ration on their shoulders for 8 km crossing mountain, streams
"We want to ensure that village school students get mid-day meals. We request govt to build a road to the village," says school teacher pic.twitter.com/cyavFj6XT4
— ANI (@ANI) October 24, 2021
স্থানীয় সূত্রে খবর, মূল রাস্তা থেকে ওই স্কুলে যেতে সরাসরি তেমন কোনও সহজ পথ নেই৷ বর্ষার সময় পাহাড়ী পথ আরও খারাপ হয়ে যায়৷ তারপর উপর জন্তু-জানোয়ারের উপদ্রব তো রয়েছেই৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও বাধা অতিক্রম করে দুরুদুরু বুকে নিময় করে খাদ্য পড়ুয়াদের খাদ্য-খাবার তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন৷ শিক্ষককদের দাবি, এলকার পথঘাট খারাপ তা স্থানীয় প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে৷ যাতে পাহাড়ের স্কুলের সঙ্গে সহজেই যোগা়োগ স্থাপন করা যায়৷কিন্তু, তারপরও অবস্থার বদল ঘটেনি৷
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শিক্ষক সুশীল যাদব বলেন, “অনেক অসুবিধা রয়েছে। রাস্তাগুলি খুব এলোমেলো, বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। আমাদের বিভিন্ন ভূখণ্ড পার হতে হয়। বন্য প্রাণীদের থেকেও হুমকি রয়েছে। কিন্তু আমরা চাই, গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন মিড-ডে মিল পায়৷ আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি গ্রামে যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা দ্রুত তৈরি হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বলেন, “এখানে খাদিয়া দামার গ্রাম পঞ্চায়েত সরকারি স্কুলে দুইজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষকরা এখানে পায়ে হেঁটে আসেন। আমি এই শিক্ষকদের নিষ্ঠাকে স্যালুট করি।”
আরও পড়ুন-দায়িত্ব পেয়ে ভোটের প্রচারে শান্তিপুর চষে বেড়াচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
বলরামপুর জেলার শিক্ষা আধিকারিক বি এক্কা বলেন, “বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। আমাদের দুই শিক্ষক সুশীল যাদব এবং পঙ্কজ সেখানে রয়েছেন। তাঁরা পিডিএসের দোকান থেকে মধ্যাহ্নভোজের রেশন নিয়ে গ্রামের স্কুলে নিয়ে যান। স্কুলটি পাহাড়ে অবস্থিত। আমি তাঁদের এই কাজের জন্য স্যালুট জানাই।”