চেন্নাই: বিরল ঘটনা৷ কয়েক মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির ফুসফুসে সমস্যা শুরু হয়৷ তড়িঘড়ি চিকিৎসকরা তাঁকে একমো(এক্সট্রা করপোরেল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন) ও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখেন৷ এরপরই চিতিৎসকরা ভেবেই নিয়েছিলেন তাঁর ফুসফুসের প্রতিস্থাপন করতে হবে৷ কিন্তু না, কোনও রকম প্রতিস্থাপন ছাড়াই প্রায় ১০৯ দিন পর ওই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠলেন৷ বৃহস্পতিবার ৫৬ বয়সী চেন্নায়ের বাসিন্দা মুদিজ্জা সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন৷ এক চিকিৎসক বলেন, এখনও পর্যন্ত তিনিই দেশের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়াই একমো সাপোর্টেই সুস্থ হয়েছেন৷
আরও পড়ুন- পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার কুখ্যাত নক্শাল নেতা রমেশ গঞ্জু
চিকিৎসকরা জানান, এই ঘটনাটিকে মীরাক্কেল বলা য়ায়৷ কারণ, এরকম জটিল সমস্যায় ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়া কোনও রোগীকে সুস্থ করা যায়নি৷ ভারতে তো নয়ই৷ তবে,ওই ব্যক্তির ফুসফুসের প্রতিস্থাপন ছাড়াই গত ৯ সপ্তাহে ইসিএমও-তে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিনব প্রচার শুরু
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরপর শ্বাস কষ্ট শুরু হয়৷ ফলে, হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই সিটি স্ক্যান করানো হয়৷ সে সময় তাঁর শরীরের অক্সিজেন লেভেল ৯২ শতাংশ ছিল৷ তারপরই তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়৷ কারণ, রোগীর শরীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে৷ প্রতি মিনিটে প্রায় ১০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন শুরু হয়৷ কার্যত তিনি কোমায় চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে বিশিষ্ট ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সি আরুমুগামতাঁকে ইসিএমও-তে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন৷ প্রথম ৪-৫ সপ্তাহে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিথিশীল হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইসিএমও-তে চিকিৎসা চালিয়ে যান৷
আরও পড়ুন- রহস্যজনকভাবে খুন শহরের তরুণ প্রোমোটার, ধন্দে পুলিশ
চেন্নাই সিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাক্তার মহম্মদ রেলা বলেন, একমো (ECMO) সাধারণত ফুসফুস প্রতিস্থাপনের আগে পর্যন্ত ‘বিরতিহীন ব্যবস্থা’ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ যাইহোক, এই ঘটনায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির সৃষ্টি করল৷ একই সঙ্গে রোগীর পরিবারের কাছে দুর্দান্ত আনন্দের ব্যাপার৷