চন্ডীগড়: মুখ্যমন্ত্রী পদে (Congress) ‘অদ্যই শেষ রজনী’ অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh)? আজ শনিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত বলেই খবর৷ কিন্তু সেই অপমান মেনে কংগ্রেসে কি তিনি আর থাকতে চাইবেন? কয়েকঘণ্টার নোটিশে আচমকা পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকায় চরম ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) ফোন করে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন৷ অমরিন্দর তাঁকে বলেছেন, বারবার এমন অপমান তিনি মেনে নেবেন না৷ তাঁকে সাইডলাইন করা হলে তিনি সেই অপমান মেনে আর দলে থাকবেন না৷
আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ নথিভুক্ত করার বিল পাস রাজস্থানে, প্রতিবাদে ওয়াক আউট বিজেপির
পঞ্জাব কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ইতি পড়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ নভজ্যোত সিং সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসিয়ে অমরিন্দরের সঙ্গে প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরোধ কিছুটা মেটানোর চেষ্টা করেছিল হাইকম্যান্ড৷ তাতেও দু’জনের তিক্ততা দূর হয়নি৷ উল্টে দলের ৬০-৭০ জন বিধায়ক সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর দাবি জানান৷ যার ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ঘটনাপ্রবাহ নতুন মোড় নেয়৷ গতকাল রাতে হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়৷ পঞ্জাব কংগ্রেসের ইন-চার্জ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত টুইট করে ওই বৈঠকের কথা জানান৷ লেখেন, দলের বিধায়কদের অনেকেই হাইকমান্ডের কাছে পরিষদীয় বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছিলেন৷ হাইকমান্ডের নির্দেশে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি শনিবার বিকেল ৫টায় চন্ডীগড়ে দলের সদর দফতরে ওই বৈঠক ডেকেছে৷ বলে রাখা ভালো, ওই বৈঠক আয়োজনের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সিধুকে৷
আরও পড়ুন: এই তো চায় দেশ, প্রতিদিন ২ কোটি টিকা, নাম না করে মোদিকে খোঁচা রাহুলের
সূত্রের খবর, অমরিন্দরকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নতুন পরিষদীয় নেতা নির্বাচন করা হতে পারে বৈঠকে৷ শোনা যাচ্ছে এক্ষেত্রে সিধু অথবা সুনীল জাখারের নাম পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আলোচনা করা হতে পারে৷ এককথায় অমরিন্দরের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে আজকের বৈঠকে৷ এই বৈঠকের কথা জানার পর থেকেই ঘনিষ্ঠ মহলের কাছে আর ক্ষোভ চাপা রাখেননি অমরিন্দর৷ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মনস্থিরও করে ফেলেছেন৷ সূত্রের খবর, সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করে তিনি জানিয়েছেন, এভাবে তাঁর পক্ষে অপমান সহ্য করে দলে থাকা সম্ভব নয়৷ যদিও অমরিন্দর ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, অন্তত ৬০ জন বিধায়ক ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আছেন৷ তিনি দল ছাড়লে ভোটের আগে পঞ্জাবে বিরাট ধাক্কা খাবে কংগ্রেস৷