তিরুঅনন্তপুরম: বিয়ে করলে নেওয়া যাবে না পণ। সেই সঙ্গে পণ দেওয়াও যাবে না। কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পণের জড়িত থাকলেই বাতিল হয়ে যাবে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সকল পড়ুয়াদের জন্য এমনই নির্দেশিকা জারি করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। ওই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে বহু মানুষ।
একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও অনেক জায়গায় পণ প্রথা দেখা যায়। যার চরম পরিণতিও দেখা গিয়েছে। সেই জটিলতা কাটাতেও বড় উদ্যোগ নিয়েছে কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষিণ ভারতের কেরলের কোঝিকোড় জেলায় অবস্থিত কালিকটের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভাস্কো-দাগামার ভারত সফরের ইতিহাস। সেখানেই পণ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নয়া ইতিহাস লেখা হতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন- অপহরণকারীদের হত্যা করে ক্রেনে ঝুলিয়ে ঘোরান আফগানিস্তানের শহরে
সাম্প্রতিক অতীতে কেরলে পণের কারণে অনেক অত্যাচারের ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সঙ্গে নারী নির্যাতন বা বধূ নির্যাতনের মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পণ প্রথা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে ওই নির্দেশিকা জারি করা হলেও কয়েক দিন পরে তা প্রকাশ্যে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা নির্দেশিকার বলা হয়েছে যে সকল পড়ুয়াকে কলেজে ভর্তির সময়ে একটি বন্ডে সাক্ষর করতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে যে পড়ুয়ারা কখনই পণ দেওয়া বা নেওয়ার জন্য বিয়ের পাত্রীর বাবা-মা কিংবা অভিভাবকদের কাছে দাবি করবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পণের সঙ্গে জড়িত থাকবে না। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নিয়ম। কোনও পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার নাম রেজিস্টার থেকে বাদ দেওয়া হবে কিংবা ডিগ্রি বাতিল হয়ে যাবে।