নয়াদিল্লি: আপ-কংগ্রেস- শিবসেনা, একযোগে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার৷ কারণ, সংসদে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, লকডাউন ঘোষণা করার পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে সাযায্য করেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মহারাষ্ট্রের শিবসেনা ও কংগ্রেস৷
কেজরিওয়াল বক্তব্যে, নির্লজ্জের মতো মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি করছেন৷পরে হিন্দিতে টুইট করে কেজরিওয়াল লেখেন, ‘‘ দেশবাসী আশা করেন করোনায় যাঁরা যন্ত্রণা ভোগ করেছেন ও যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংবেদশীল হবেন৷’’
করোনা প্রাথমিক পর্যায়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় আজ সংসদে বিরোধীদের অভিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বিরোধী শাসিত মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে প্রসাশনকে ইঙ্গিত করেবলেন, “কংগ্রেস সীমা অতিক্রম করেছে… প্রথম ঢেউয়ের সময়… মুম্বই রেল স্টেশনে কংগ্রেস পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিট দিয়েছিল এবং করোনভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য … দিল্লি বাসের ব্যবস্থা করেছিল। এরফলে, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্যে ভাইরাসের বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছিল৷ যেখানে করোনা সংক্রমণের কোনও তীব্রতা ছিল না”।
মহারাষ্ট্রের রাজস্ব মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা বালাসাহেব থোরাত প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি লকডাউন চলাকালীন বিহার এবং উত্তর প্রদেশের শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছে। আমরা তাদের যত্ন নিয়েছিলাম এবং যখন তারা বাড়িতে যেতে চেয়েছিল, আমরা তাদের টিকিট দিয়েছি… এই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া উচিত ছিল৷
আরও পড়ুন-জনসমুদ্রে মমতা-বরণ লখনউতে, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে কী বার্তা দেবেন নেত্রী
অন্যদিকে মুম্বই কংগ্রেসের আর এক নেতা প্রশ্ন তোলেন ভাইরাস দেশে এলো কীভাবে?তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধী আগেই বলেছিলেন যে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করতে হবে৷ যাতে করোনা সংক্রমণ না বাড়ে৷ কিন্তু তা করা হয়নি।’’
.
কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, ‘‘আমরা ১০৬টি ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠিয়েছি। তখন সরকার বলেছিল ভাড়ার ৭৫ শতাংশ মকুব করছে৷আমরা বাকি ২৫ শতাংশ দেওয়ার কাজ করেছি এবং তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছি৷’’
শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর দাবি, ‘‘মানবতার জন্য ১০০ বার এই ভুলটি করবেন’’। তিনি বলেন, ‘‘লকডাউন ঘোষণার ৪ ঘন্টা আগে, ট্রেন বন্ধ, আন্তঃরাজ্য যাতায়াত বন্ধ। পরিযায়ী শ্রমিক- প্রধানত দিন মজুর-রা আটকা পড়েছিলেন। যদি তাদের দেখাশোনা করা-খাদ্য ও বাসস্থান প্রধানমন্ত্রীর চোখে ভুল ছিল, তাহলে মানবতার জন্য এই ভুলটি ১০০ গুণ বেশি হবে। কারণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি গোটা বিশ্ব দেখেছে৷