পটনা: ৯ নভেম্বর অভীনাশ ঝা-কে শেষবার দেখা গিয়েছিল৷ তার পর থেকেই হদিশ মিলছিল না ২৩ বছরের তরুণ সাংবাদিক তথা আরটিআই কর্মীর৷ শুক্রবার বিহারের মধুবনী জেলায় তাঁর গ্রামের কাছে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় অভীনাশের দগ্ধ দেহ৷ অপহরণ ও খুনের পর তাঁর দেহ পুড়িয়ে গ্রামের কাছে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা৷ তরুণ সাংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ থেকে সাংবাদিকরা৷ সহকর্মীরা জানিয়েছেন, রমরমিয়ে চলতে থাকা ভুয়ো ক্লিনিক ও নার্সিংহোম নিয়ে খবর করাতেই প্রাণ গিয়েছে অভীনাশের৷
আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের
স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে কাজ করতেন বুধিনাথ ঝা ওরফে অভীনাশ৷ অভিযোগ, গত ৯ নভেম্বর বেনিপট্টি পুলিশ থানা থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে একটি জায়গা থেকে তাঁকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা৷ কিছুদিন আগে ওই এলাকার ভুয়ো নার্সিংহোম নিয়ে একটি খবর করেছিলেন তিনি৷ তার জেরে একাধিক ক্লিনিকের ঝাঁপ পড়ে যায়৷ অপহরণের দু’দিন আগে ফেসবুক পোস্টে আরও কয়েকটি ভুয়ো ক্লিনিকের নাম জানিয়ে দেন অভীনাশ৷ তবে ওই পোস্টে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কাও করেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, খবর চেপে যাওয়ার জন্য তাঁকে লাখ লাখ টাকা অফার করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: ক্লাস এইটে ইংরেজি শিখেছেন প্রধান বিচারপতি, সলিসিটর জেনারেল বললেন, ‘আমিও’
৯ নভেম্বর বাড়ির কাছ থেকেই অপহরণ করা হয় ঝা-কে৷ তাঁর বড় ভাই চন্দ্রশেখর ঝা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন৷ তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ৷ তাতে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টার একটু আগে ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছেন অভীনাশ৷ হাঁটতে হাঁটতে বেনিপট্টি থানা ক্রশ করেন তিনি৷ পুলিশকে এক প্রতক্ষ্যদর্শী জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি মার্কেটে রাত ১০টা বেজে পাঁচ মিনিটে তিনি অভীনাশকে সেখানে দেখেছিলেন৷
আরও পড়ুন: পুলিশ সেজে জরিমানা আদায়, ধৃত প্রতারক
মঙ্গলবার রাতে বেরিয়ে আর ঘরে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় অভীনাশের পরিবার৷ দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সাংবাদিককে খোঁজার চেষ্টা করে৷ তখন জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ফোনটি অন করা হয়েছিল৷ পরের দিন ১০ তারিখ বেনিপট্টি পুলিশ থানা থেকে পাঁচ কিমি দূরে ফোনের নেটওয়ার্ক পান তদন্তকারীরা৷ কিন্তু সাংবাদিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ অবশেষে শুক্রবার বাড়ির সামনে তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷