নয়াদিল্লি: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কোভিড মোকাবিলায় ‘ব্যর্থতা’-র জন্য জনপ্রিয়তা কমেছে মোদির। দেশের বিরোধী দলগুলিও বারংবার করোনা মোকাবিলায় মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ‘বিশ্ব টিকা গুরু’ উপাধি পেতে গিয়ে দেশবাসীকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এই অভিযোগও করে থাকেন অনেকে।
মর্নিং কনসাল্ট নামে একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, জুন মাসের ২৯ তারিখের হিসেবে চলতি বছরের মার্চের তুলনায় মোদির অ্যাপ্রুভাল রেটিং ১৪ শতাংশ কমেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষস্থান হারিয়েছেন মোদি। ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাপ্রুভাল রেটিং কমেছে ৩৪ শতাংশ। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে বিশ্বের ১৩ জন রাষ্ট্রনেতার ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়।
১৩ জনের মধ্যে মাত্র পাঁচজন রাষ্ট্রনেতার অ্যাপ্রুভাল রেটিং বেড়েছে। কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে মোদি সহ ৮ রাষ্ট্রনেতার অ্যাপ্রুভাল রেটিং উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মোদিকে টপকে আপাতত শীর্ষস্থানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর। তাঁর অ্যাপ্রুভাল রেটিং বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
অবশ্য মোদির শীর্ষস্থান হারানোর পিছনে কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতাকেই কেবলমাত্র দায়ী করা হয়নি। মোদি সরকারের ‘একনায়কতন্ত্র’-এর দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। মোদির পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার অ্যাপ্রুভাল রেটিংয়েও ধস নেমেছে।