জয়পুর: অপহরণের পর গণধর্ষিতা হন এক তরুণী৷ অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সাহায্য৷ উল্টে দু’বছর ধরে চলে যৌন নির্যাতন৷ কিছু দিন আগে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেয় ধর্ষকরা৷ তার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ৷ গণধর্ষণ ও হুমকির অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: শালীন পোশাক ছাড়া মিলবে না পরিষেবা
ঘটনাটি রাজস্থানের আলওয়ার জেলার৷ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল গৌতম সাইনি, বিকাশ এবং ভুরু জাট৷ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ২০ বছরের ওই তরুণী পরীক্ষা দিতে কলেজ যাচ্ছিলেন৷ মাঝপথে তাঁকে অপহরণ করে বিকাশ ও ভুরু জাট নামে দুই যুবক৷ তারা গণধর্ষণ করে তরুণীকে৷ এফআইআর অনুযায়ী, সেই সময় চার জন যুবক উপস্থিত ছিল৷ কিন্তু গণধর্ষণ করে তিনজন৷
ওই ঘটনার পরই মালাখেরা থানায় অভিযোগ জানাতে যান ওই তরুণী৷ কিন্তু পুলিশ এফআইআর নিতে চায়নি বলে অভিযোগ৷ অন্যদিকে ধর্ষণের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টানা দু’বছর ধর্ষিতা হন ওই তরুণী৷ এক সপ্তাহ আগে গৌতম সাইনি একটি ভিডিও পাঠিয়ে তাঁকে হুমকি দেয়৷ জানায়, দেখা না করলে ভিডিওগুলি পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ হুমকি দেওয়ার দু’দিন পর সেই ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয় অভিযুক্ত৷
ফের থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা৷ পুলিশ সুপার তেজস্বিনী গৌতমের সঙ্গে দেখা করেন৷ তার পরই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় তিন অভিযুক্ত৷ ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল চেক-আপ করানো হয়েছে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর জবাববন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতে৷
আরও পড়ুন: এবার ইডির নজরে ইয়ামি
এদিকে দু’বছর আগে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও কেন পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সেই প্রশ্ন ওঠে৷ আলওয়ারের সার্কেল অফিসার অমিত সিং জানিয়েছেন, আলাদা করে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে৷ তাতে পুলিশের গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷