কানপুর : নাবালিকাকে অপহরণ (Kidnap) করে প্রায় দুই মাস ধরে ধর্ষণ (Rape) ও জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠলো নাবালক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তাকে নামাজ পড়তে বাধ্য করেন তারা। নামাজ না পড়তে চাইলে তাকে মারধরও করা হয়। এমনকি নাবালিকাকে মসজিদে নিয়ে গিয়ে নাম বদলে মুসকান খান (Muskan Khan) রাখা হয়েছিল।
১৪ বছর বয়সী মেয়ের সাথে ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব করেছিল ২০ বছরের দানিশের। নাবালিকার সাথে দীর্ঘদিন কথা হতো তার। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। নাবালক তাকে বাংলো বাড়ি ও গাড়ির ছবি দেখিয়ে লোভ দেখায় বলে অভিযোগ।
নাবালিকার অভিযোগ, তাকে প্রভাবিত করার জন্য দানিশ বাংলো বাড়ি ও গাড়ির ছবি পাঠাতেন এবং দাবি করতেন এগুলি তাদের। যখন তিনি তার বাড়িতে পৌঁছান, তিনি দেখেন একটি পুরানো জরাজীর্ণ বাড়ি। কয়েক দিন পর থেকে তাকে ধর্ষণ করা শুরু করে এবং তাকে আমিষ খাবার খেতে এবং নামাজ পড়তে বাধ্য করে। প্রতিবাদ করলে দানিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধরও করে। তাকে একটি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার নাম পরিবর্তন করে মুসকান খান রাখা হয়। তাদের বিয়ের তারিখ হিসাবে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছিল দানিশের পরিবার।
শুক্রবার একটি হিন্দু সংগঠনের কিছু সদস্য ঘটনাটি জানতে পেরে দানিশের বাড়িতে পৌঁছায়, সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেনা তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দানিশ ও তার পরিবার নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।
আরও অন্য খবর দেখুন
https://kolkatatvonline.in/kolkata/committed-suicide-by-hacking-his-wife-and-daughter-in-multi-storied-residence-dumdum-kolkatatv-online/