জয়পুর: রাজস্থানে নজিরবিহীনভাবে একসঙ্গে মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ৷ শনিবার সন্ধে ৭টায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তাঁর বাসভবনে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা৷ ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, রাজ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে৷ আগামিকাল রবিবার মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথবাক্য পাঠ করবেন৷ নতুনদের জায়গা করে দিতেই অভূতপূর্বভাবে মন্ত্রিসভা থেকে পুরনোদের ইস্তফার সিদ্ধান্ত৷
আরও পড়ুন: আগরতলায় তৃণমূলের উপর ‘হামলা’, কলকাতা ফিরলেন ফিরহাদ হাকিম-রা
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং কাচারিয়াস জানিয়েছেন, সব মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন৷ গত শুক্রবারই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোবিন্দ সিং দোস্তারা, হরিশ চৌধুরী এবং রঘু শর্মা৷ সম্ভবত তাঁরা দেওয়াল লিখন বুঝতে পেরেছিলেন৷ তাই আগেভাগেই ইস্তফা দিয়ে দেন৷
গত কয়েকদিন দিন দিল্লির নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন মিটিং করতে দেখা গিয়েছে অশোক গেহলত এবং সচিন পাইলটকে৷ এমনকী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলাদা করে দু’জনে কথা বলেন৷ মরুরাজ্যে তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে৷ তাই এত ঘন ঘন বৈঠক৷
আরও পড়ুন: বিধায়ক দিবাকর ঘরামির খোঁজে পোস্টার, বিজেপি বলল, দলে টানতে না পেরেই কুৎসা রটাচ্ছে তৃণমূল
মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট৷ তিনি নিজেও বহুবার বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হবে৷ কিন্তু গত ১৫ মাসে অশোক গেহলট যতটা সম্ভব মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ আটকানোর চেষ্টা করেছেন৷ কেননা তিনি চান না তাঁর ক্যাবিনেটে সচিন অনুগামীদের পাল্লা ভারী হোক৷ মরু রাজ্যে পাইলট বনাম গেহলট দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত৷ এই দ্বন্দ্বের জেরেই দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন সচিন পাইলট৷ শাস্তি হিসেবে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও সরায় কংগ্রেস৷ পরে হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে মান-অভিমান ভুলে ফিরে আসেন৷