নয়াদিল্লি: লোকসভায় কংগ্রেসের (Congress) পরিষদীয় দলনেতা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আসন্ন বাদল অধিবেশনে বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীই (Adhir Ranjan Chowdhury) কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা থাকছেন। মোদি-শাহ মোকাবিলায় আপাতত পোড় খাওয়া নেতা অধীরবাবুর ওপরই আস্থা রাখতে চাইছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল লোকসভায় বিরোধী নেতার পদ খোয়াতে পারেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। দলের একটা অংশ অধীরবাবুর বিরুদ্ধে সরবও হয়েছিলেন। এরই মধ্যে সংসদীয় কৌশল নির্ণায়ক কমিটির বৈঠক ডাকেন সোনিয়া গান্ধী। তাতে জল্পনা কয়েকগুন বেড়ে যায়। ১৯ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশনের আগেই অধীরবাবুকে সরানো হচ্ছে, এমন খবর রটে যায়।
বহরমপুরের সাংসদ অধীর পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পাশাপাশি লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা৷ দলের একাংশের যুক্তি ছিল, কংগ্রেস এখন এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে চলতে চাইছে৷ সেই কারণে অধীরকে পদ থেকে সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে৷ কংগ্রেসের অন্য অংশের মতে, একুশের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের কারণেই দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে বহরমপুরের সাংসদকে। যদিও সেই সব জল্পনা আপাতত জল্পনার স্তরেই রইল। লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ হিসেবে আপাতত অধীরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
মঙ্গলবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান প্রশান্ত কিশোর। রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন প্রশান্ত। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কোমড় বেঁধে মাঠে নামতে চায় কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচন ছাড়াও পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে ভোটেও প্রশান্ত কিশোরের ওপর ভরসা রাখতে চায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সে কারণেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নানা বিষয়ে বহুক্ষণ আলোচনা করেন সোনিয়া, রাহুলরা।