বেঙ্গালুরু: প্রায় ছ’বছর কেটে গেলেও এখনও আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গিয়েছে। এমনকী এই নিয়ে প্রসঙ্গ উত্তাল হয়েছিল সংসদও। যে বিষয় নিয়ে বলা হচ্ছে তা হল, কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী জনার্দন রেড্ডি (Janardhana Reddy) নজিরবিহীন জাঁকজমক করে মেয়ের বিয়ে (Janardhana Reddy Daughter Wedding) দিয়েছিলেন। মেয়ের বিয়েতে রীতিমতো রাজকীয় আয়োজন করেছিলেন প্রাক্তন ওই মন্ত্রী। এমনকী, কনের গহনা এবং পোশাকের দাম শুনলেও সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে। দেখে নেওয়া যাক সেই জাঁকজমক বিয়ের আয়োজনের গল্প।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর এই রাজকীয় বিয়ের আসর বসেছিল। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার অতিথি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এই অতিথিদের আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছিল এলসিডি স্ক্রিন প্লেয়িং কার্ড (LCD Screen Card)। একটি বাক্সের মধ্যে রাখা হয়েছিল আমন্ত্রণপত্র। বাক্স খুলতেই একটি গান বাজতে থাকত। আর এই গানটি রেড্ডি পরিবারের সদস্যদের নিয়েই রেকর্ড করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Pradeep Sarkar Passes Away | নিভল বলিউডের প্রদীপ,প্রয়াত ‘পরিণীতা’-র পরিচালক প্রদীপ সরকার
বিয়ের আসর বসেছিল বেঙ্গালুরু প্যালেস গ্রাউন্ডে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের পৌঁছে দিতে মোট ৪০টি বিলাসবহুল গরুর গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকী বলিউডের একজন বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টররা বিয়ের মণ্ডপ সজ্জা তৈরি করেছিলেন। বিজয়নগর শৈলীর মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছিল সেই মণ্ডপ। খাবার জায়গাটিতেও ছিল মক। বেল্লারি গ্রামের আদলে তৈরি করা হয়েছিল খাবার জায়গার আসর।
আমন্ত্রিতদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর পাঁচতারা হোটেলে। প্রায় ১৫০০ রুম বুক করা হয়েছিল। এমনকী অতিথিদের আনা-নেওয়া করার জন্য প্রায় ২০০০টি ক্যাব এবং ১৫টি হেলিকপ্টারও ভাড়া করেছিলেন রেড্ডি। অনুষ্ঠানস্থল মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে। রেড্ডির পরিবারের সদস্যরা সকলেই রাজকীয় পোশাক সহ কোটি কোটি টাকার সোনা এবং হিরের গহনায় নিজেদের মুড়ে নিয়েছিলেন।
তবে আসল চমক ছিল কনের পোশাকে। মন্ত্রীর কন্যা ব্রাহ্মণী নিজের বিয়েতে পরেছিলেন ১৭ কোটি টাকার শাড়ি। সেই সঙ্গে গায়ে ছিল প্রায় ৯০ কোটি টাকার অলঙ্কার। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, সব মিলিয়ে এই বিয়েতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা (Wedding cost Rs 500 crore)।
তবে রেড্ডি-কন্যার বিয়ের এই বিপুল খরচ নিয়ে অবশ্য ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তিনি সেই সময় কর্নাটকের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।