দেরাদুন : উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে আপাতত বন্ধ ৪ ধাম যাত্রা। গত সোমবার চার ধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড তীর্থযাত্রীদের জন্য আগামী কয়েক দিন এই ৪ ধাম যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময় প্রায় ৪ হাজার তীর্থযাত্রী কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তাঁরা নিজেদের যাত্রা স্থগিত রেখে লিনচৌলি এবং ভিম্বালিতে অবস্থান করছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে ধস নামে, যার ফলে সেখানে ৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরাখণ্ডে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধস নামে। আর সেই ধসে নেপালের ৩ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ৪ ধাম যাত্রা স্থগিত রাখা হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জানান, বৃষ্টির কারণে পৌরি জেলায় ধস নামে। সেই সময় রাস্তার ধরে একটি হোটেল নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানে কাজ করছিলেন ওই ৩ শ্রমিক। এই ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়। বাকিদের জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবারে হরিদ্বারে আসা তীর্থযাত্রীদের যতদিন না পর্যন্ত আবহাওয়ার উন্নতি হচ্ছে, ততদিন চার ধাম যেতে নিষেধ করা হয়।
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে পাম গাছের নয়া উদ্যান
যাত্রীদের চন্দ্রভাগা সেতু, তপবন, লক্ষণ ঝুলা অতিক্রম করতে নিষেধ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ ও আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভাকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করেছেন। তীর্থযাত্রীদের আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন। যাত্রীরা ঋষিকেশ, শ্রীনগর, তেহরি, উত্তরকাশী, রুদ্রপ্রয়াগ, যোশীমঠ প্রভৃতি স্থানের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা থাকার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। রবিবার রাতে কেদারনাথে বৃষ্টি হওয়ায় মন্দাকিনী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যে সকল যাত্রীরা এই মুহূর্তে এই চার ধামের রয়েছে তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। যমুনেত্রীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া তীর্থযাত্রীরা বাদকোট এবং জানকীচোট্টিতে থাকতে বলা হয়েছে। গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে যাত্রীদের ভাটওয়ারী এবং মানেরিতে থাকতে বলা হয়েছে। কেদারনাথ ও বদ্রিনাথের তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে যে, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যেন যোশীমঠ এবং চামোলিতে অবস্থান করেন।