করোনাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ফের নতুন করে ঘি-য়ের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ঘি খাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন নিউট্রশনিস্টরা। তবে ভ্যাজালের ভয়ে বাজার থেকে ঘি কিনে খেতে ভয় পান অনেকেই। তাই আজকাল অনেকেই বাড়িতেই ঘি বানিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে ভ্যাজালের ভয়ও থাকবে না আবার ঘি-য়ে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টিও শরীরে ঢুকবে। কিন্তু সময় বার করে ঘি বানানোর কথা ভেবেই অনেকে আবার আঁতকে ওঠেন। বিষয়টি সময়সাপেক্ষ নিঃসন্দেহে তবে ছুটির দিনে এটি বানিয়ে নিতেই পারেন। কীভাবে বানাবেন দেখে নিন-
প্রথমে দু’লিটার দুধ ভাল করে গরম করে নিন। দুধ ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে দুধের সর তুলে নিন। এবং আলাদার একটি বাটিতে রেখে দিন। এভাবে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিনে দুধের সর জমান। এই প্রক্রিয়া চলাকালিন প্রত্যেকদিন নিয়ম করে দুধের সরের বাটি ফ্রিজে রাখবেন। না হলে ফাঙ্গাস লেগে নষ্ট হয়ে যাবে।
এ ভাবে ক’দিন দুধের সর জমিয়ে রাখার পর ফ্রিজার থেকে বার করে কিছুক্ষণ দুধের সরের বাটি বাইরে রেখে দিন। রুম টেম্পারেচারে এলে এবার এতে ২ টেবিল স্পুন দই মিশিয়ে দিন। এবার এই ভাবেই গোটা রাত রেখে দিন।
আরও পড়ুন: রোজ ঘি খান মেপে
পরের দিন এই মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে ঢালুন এবার এতে ২ গ্লাস ঠান্ডা জল দিন, ব্লেন্ডার ভর্তি হয়ে গেলে ঘুড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন এই মিশ্রণে যে ফ্যাট আছে তা ক্রিমের থেকে সরানোর জন্য ঠান্ডা জল অত্যন্ত আবশ্যক। চাইলে আপনি বরফের ঠুকরো মিশিয়ে নিতে পারেন।
এবার এই তরল পদার্থ থেকে ফ্যাট বা মাখন ছেঁকে নিন। এমন ভাবে ছাঁকতে হবে যেন একফোটা দুধও যাতে না থাকে। তাই মাখন যে পাত্রে রাখবেন সেই সময়ে মাখন ধুয়ে নিন।
এবার এই মাখন একটি মাত্রে হালকা আঁচে গরম করুন। যতক্ষণ না এটি ফুটতে শুরু করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আগুনে রাখুন। এটা হতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগবে। না হওয়া পর্যন্ত মাখনটি নাড়তে খাকুন। ফুটে গেলে দেখবেন মাখন গলে ঘি হয়ে গেছে।
দেখবেন ছোট ছোট দুধের কণা এই সময় তেলে ভাসতে শুরু করেছে। মাখন পুরো গলে যাওয়ার পর আগুন থেকে নামিয়ে মিশ্রণ ঠান্ডা হতে দিন। তরল মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হতে দিন এবং ছেঁকে একটি অন্য পাত্রে ঢেলে দিন।
আরও পড়ুন: ঘি খেলে ওজন বাড়ে না