কোভিডের আগে ঘি খাওয়া নিয়ে যা কিছু দ্বিমত ছিল তা কোভিডকালে একেবারেই ঘুচে গেছে। আগে শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্যে ব্যবহার করা হত ঘি। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কম বেশী প্রত্যেকেই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় আজকাল ঘি রাখেন। আর ঘি-এর জনপ্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে ঘি-এর সঙ্গে মাখনের তুলনা। স্বাস্থ্য ভাল রাখার নিরিখে মাখনকে পিছনে ফেলে বেশ কয়েকটি বিষয়ে এগিয়ে গেছে ঘি। তবে তাই বলে কিন্ত বেকিংয়ে মাখনের বদলে ভুলেও ঘি ব্যবহার করবেন না, এমনটাই বলছেন চেফ মেঘনা। এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন এই ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েনসার।
View this post on Instagram
কোভিডকালে যেমন বেড়েছে ঘিয়ের জনপ্রিয়তা তেমনি আবার মন ভাল করতে বেকিংয়ে মনোনিবেশ করছেন অনেকেই। বিশেষ করে লকডাউনের সময় এই বেকিং রেসিপির বন্য বয়ে গিয়েছল ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।ডেজার্ট, স্ন্যাকস, ফ্রাইস বেক করে কত রকমারি খাবারই তৈরি হয়েছে। আর বেকিংয়ের অন্যতম উপকরণ মাখন। সেক্ষেত্রে অনেকে ভাবতেই পারেন খাবারের পুষ্টিগত মান বাড়াতে মাখনের বদলে ঘি ব্যবহারের কথা। কারণ ঘিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটস এবং পাচনক্রিয়ার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মস্তিষ্কের বিকাশে, হজমশক্তি বাড়াতে, রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে, আয়ু বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী। লুব্রিকেটিং এজেন্ট হিসেবে ঘি ভীষণ ভাল এবং খাবার থেকে আমাদের শরীরকে পুষ্টি শুষে নিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ঘি খেলে ওজন বাড়ে না
কিন্তু, চেফ মেঘনা জানাচ্ছেন ঘিয়ের তুলনায় মাখনে আর্দ্রতা অনেক বেশি থাকে। অধিকাংশ বেকিংয়ের পদ এই কথাটা মাথায় রেখেই বানানো হয়।তাই মাখনের বদলে ঘি ব্যবহার করলে অন্যান্য উপকরণেও বদল আনতে হবে। তাই রান্না এ মিষ্টির স্বাদ বাড়াতে ঘি ব্যবহার করা হলেও। বেকিংয়ের জন্য মাখন ব্যবহার করাই ভাল। এতে বেকড খাবার আশানুরূপ তৈরি হবে। বিশেষ করে যদি আপনার বেকিংয়ে সদ্য হাতে খড়ি হয় তা হলে তো একেবারেই নয়।
আরও পড়ুন: বাজার থেকে না কিনে বাড়িতে ঘি বানিয়ে নিন এই ভাবে