২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম এই যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। ওই বছরেই ডিসেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষণা করে ২১ জুন দিনটি প্রত্যেক বছরই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের প্রস্তাব ১৭৭টি সদস্য দেশ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দিয়েছিল। এরপরই প্রথম বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন হয়েছিল ১৫ ই জুন, ২০১৫। ভারতের আয়ুশ মন্ত্রক একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিল, যেখানে নয়া দিল্লির রাজপথে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ৮৪টি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি-সহ প্রায় ৩৫৯৮৫ জন মানুষ ৩৫ মিনিট ধরে মোট ২১টি যোগাসন করেছিল। এ দিন দু’টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হয়, প্রথম রেকর্ড ছিল, বৃহত্তম যোগ ক্লাস এবং দ্বিতীয় ছিল, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের জন্য। তারপর থেকেই ২১ জুন যোগ দিবস হিসেবেব পাওলি করা হয়ে থাকে। মানুষের জীবনে যোগাভ্যাসের কতটা প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম International Yoga Day Theme ছিল “সম্প্রীতি ও শান্তির জন্য যোগ।”
যোগব্যায়াম কেবল একটি শারীরিক অনুশীলনই নয়, এটি আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঐক্যের অনুভূতিতে, বিশ্ব ও প্রকৃতির আবিষ্কারেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমাদের পরিবর্তিত জীবনধারায় সচেতনতা বৃদ্ধি করে, এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: Adipurush | বজরংবলী ভগবান নন, ভক্ত! আদিপুরুষের সংলাপ লেখকের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়
এবছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম
‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’-এর উদ্দেশ্য বিশ্বের মানুষের কাছে যোগের অনেক শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা থিম থাকে। ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৩’ এর থিম হল ‘মানবতা’। অতীতের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে ‘হৃদয়ের জন্য যোগ’, ‘শান্তির জন্য যোগ’, বাড়িতে যোগব্যায়াম এবং পরিবারের সঙ্গে যোগব্যায়াম।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ উপলক্ষে সবাই এক জায়গায় জড়ো হয় এবং যোগ ব্যায়াম করে। যোগব্যায়াম করা কোনও নতুন জিনিস নয়, তবে এটি হাজার হাজার বছর আগে ভারতেই সূচণা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ঋগ্বেদের মতো পৌরাণিক গ্রন্থেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়।