গুড ফ্রাই ডে (Good Friday 2023) মানেই খ্রিস্টান (Christ) সম্প্রদায়ের উৎসব। কিন্তু কথায় আছে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জেনে নেওয়া যেতে পারে প্রাচীন এই ধর্মের ইতিহাসও। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা সেই চার্চগুলোর ইতিহাসও রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে কীভাবে পালন করা হয় তারও নানা ইতিহাস আছে।
গুড ফ্রাইডে। যিশু খ্রিস্টকে ক্রুসবিদ্ধ করার এই দিনটিকে জার্মানরা স্মরণ করে বেদনাময় দিন হিসেবে। তবে অনেকেই মনে করেন, গুড ফ্রাইডে শব্দটি আসলে গডস ফ্রাইডের এক ধরনের সংস্করণ। তবে বিশ্বের খ্রিস্টানদের জন্য একটি পবিত্রতম দিন। জার্মানি, মেক্সিকো, ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটিতে নানা আয়োজনে প্রতি বছর উদ্যাপিত হয়ে থাকে দিনটি।
আরও পড়ুন: OTT | Serise | চলতি মাসেই মুক্তি পাচ্ছে এক গুচ্ছ নতুন সিরিজ, জেনেনিন সময় আর স্ট্রিমিং প্লাটফ্রম
এই দিবসটি উপলক্ষে ভ্যাটিকানের প্রাসাদে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান। প্রতি বছর এই দিনটিতে জার্মানির বেনশেইমের রাজপথে মঞ্চায়িত হয়ে থাকে যিশু খ্রিস্টকে নির্মমভাবে ক্রুসবিদ্ধ করার করুণ দৃশ্যটি।
দৃশ্যটি ঠিক কী রকম?
৯০ জন রোমান সেনা প্রস্তুত। হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে গ্রেপ্তার করা হল প্রভু যিশুকে। হাজির করা হল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ শাস্তি দেওয়ার জন্য। তারপর ক্রুসবিদ্ধ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হল তাঁকে। গুড ফ্রাইডে স্মরণে কয়েক হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে অপেশাদার অভিনেতার উপস্থাপনায় রচিত হয়ে থাকে খ্রিস্টানদের জন্য চরম বেদনাদায়ক এই ইতিহাস। প্রায় ৩০ বছর ধরে বিশেষ এই দিনে জার্মানিতে বসবাসরত ইতালীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই নাটকটির দৃশ্যায়ন করে আসছে।
জার্মানরা বলেন, প্রতি বছরই দেখছি নাটকটি। প্রতিবারই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এই দিনটি যদিও বেদনার, তবু এই মিউজিক্যাল ড্রামার মধ্য দিয়ে ইস্টার সানডের আগেই উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। এই নাটকটির পেছনে যে ইতিহাস রয়েছে, তা আমাদের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই জীবন্ত। যাঁরা নিয়মিত চার্চে যান না, প্রার্থনা করেন না, তাঁদের বিশ্বাসেও যেন নাড়া দিয়ে যায় এই ঐতিহ্যবাহী নাটক।