ঝাড়গ্রাম: দয়া করে সিপিএমকে (CPIM) ক্ষমা করে দিয়েছি। শালবনির সভা থেকে ফের বামেদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রার মঞ্চে মমতা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে বলেছিলাম, বদলা নয় বদল চাই। তাই ওদের কাউকে গ্রেফতার করিনি। এদিনও তিনি এক আসনে সিপিএম-বিজেপিকে(BJP) বসিয়ে বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাম-বাম-শ্যাম সব এক হয়েছে। মনে রাখবেন আমরা গুজরাত, উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার নই, আমরা কেরলের সিপিএম সরকার নই। আমরা তৃণমূল সরকার। আমরা বদলা নিই না।
মমতার কথায়, সিপিএমের নেতারা প্রায়ই বলেন, আমাদের গ্রেফতার করল না কেন। দয়া করে আপনাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। গ্রেফতার করলে তো সবকটাকে করতে হত। এদিন সভায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সুব্রতদা বলেছিলেন, মমতা তোর বড় দোষ। তুই বলে ওদের ক্ষমা করে দিলি। ওরা যা মানুষের সঙ্গে করেছে, তাতে ওদের প্রতি সপ্তাহে পেটানো উচিত ছিল। মানুষ যেমন সাপ্তাহিক রেশন পায়, তেমনি ওদের সাপ্তাহিক পেটাই প্রাপ্য ছিল। সুব্রতদা আজকে বেঁচে নেই। কিন্তু আজ মাঝে মধ্যে তাঁর কথা মনে পড়ে। পাপের মার বিচুটি পাতা দিয়ে ঘষলেই চলে যাবে, লাঠি বন্দুকের দরকার পড়বে না।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | Kurmi | গড় শালবনিতে হামলার ঘটনায় বিজেপি জড়িত, সরাসরি অভিযোগ মমতার
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে, ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের কথা। তিনি বলেন, তৃণমূলের আমলে পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল হাসছে। কিন্তু বাম জমানায় জঙ্গলমহলে মানুষের জীবন সিপিএমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে ছিল। কত জনের যে মুণ্ডু কেটে হলদি নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছিল তার ঠিক নেই। চমকাইতলা, গড়বেতা, ছোটআঙারিয়া, নেতাই, লালগড়, নন্দীগ্রাম, কেশিয়াড়ি, কেশপুরে কী করেনি সিপিএম। মানুষের ধোপা-নাপিত বন্ধ করে দিয়েছিল। গ্রামে গ্রামে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির মহিলাদের থান কাপড় পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হত। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরে এসেছে। আবার জঙ্গলমহলকে অশান্ত করার চক্রান্ত চলছে।