বর্ধমান: বড়দিন (Merry X-mas)। ছোট থেকে এই দিনটিকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে আট থেকে আশি মেতে ওঠেন উৎসব পালন করতে। সারা বছর জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে কেকের ব্যবহার হলেও ২৫ ডিসেম্বরের (25 December) কেক (Cake) অর্থাৎ বড়দিনের কেক খাওয়া অন্য একটা মাত্রা এনে দেয়। বড়দিনে জাতিভেদ ভুলে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের বাড়িতেও কেক আসে উৎসব পালন করতে। সেই কারণে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন বেকারিতে এখন চলছে যুদ্ধকালীন কাজ। রাস্তার ধারে কেকের পাহাড় সাজিয়ে বসে নেই বিক্রেতারা, এমন ছবি কোত্থাও মিলবে না। আর সেই কেক কিনতে ভিড় জমিয়েছে আমজনতা।
কিন্তু, কেউ কি জানেন কেন কেক খাওয়া হয় যিশুর জন্মদিনে?
১৫০১ খ্রিস্টাব্দে যখন ঘোষণা করা হয় যিশুর জন্ম হয়েছিল ২৫ ডিসেম্বর। তারপর থেকেই এই দিনটি আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। যিশুর জন্মদিনের সাত দিন আগে থেকে খ্রিস্টধর্মের মানুষ উপবাস করে থাকেন। অতীতে উপবাসের পর তাঁরা যে খাদ্য গ্রহণ করতে তার নাম ছিল পরিজ। সেই পরিজ তৈরি করা হতো জব, মধু এবং গুড় ও ফল দিয়ে। গরম জলে ওই মণ্ডটি কাপড়ে বেঁধে ফেলে দিয়ে কিছুক্ষণ পর তুলে নিলে তৈরি হত একটি থলথলে পদার্থ। সেই পদার্থটির নাম ছিল পরিজ। পরে আস্তে আস্তে তার নাম পরিবর্তন হয়ে হল কেক।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফুলমেলার উদ্বোধনে রাজ্যপাল, গরহাজির বিরোধী দলনেতা
কেকের জন্ম ও নাম-রহস্য
প্রথমে আসে প্লামকেক। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকার কেকের সৃষ্টি হয়। চলতে থাকে বিভিন্ন প্রকার কেক তৈরির গবেষণা। বিভিন্ন খাদ্যবস্তু দিয়ে কেক তৈরি। এমনকী ভিগানদের জন্য তৈরি হল ডিম ছাড়া কেকও। সেই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় কেক খাওয়ার রীতি। আজও তাই বিশ্ববাসী মেতে ওঠে ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিনে দিন কেক খেতে।
উৎসবপ্রিয় বাঙালিকেও তাই আটকে রাখা যায়নি পুলি-পিঠের পার্বণের মধ্যে। যিশুর জন্মদিনেও সে কারণে আর কিছু না হোক, একপিস কেক অন্তত চাই। আর হাতে গোনা একটি দিনের পরই বড়দিন। গত দু’বছর করোনা আবহাওয়াতে কেকের বাজার তেমন ভালো না হওয়ায় এ বছরে ব্যবসাদারদের আশা প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হবে কেক। ২৫ ডিসেম্বরের আগে থেকেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ বিভিন্ন কেকের দোকানে। তবে করোনা আবার চোখ রাঙাচ্ছে। তার আগে বড়দিনে কতটা ব্যবসা জমাতে পারবেন কেক বিক্রেতারা, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।