Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | দশ মাস দশদিন পরে নরেন্দ্র মোদি কোথায় থাকবেন? 
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By: 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩, ১০:২০:০০ পিএম
  • / ১২৯ বার খবরটি পড়া হয়েছে
একটা মিথ তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু বছর জুড়ে, তা হল এক অপ্রতিরোধ্য বিজেপি র নরেন্দ্র মোদির মিথ। মোদি যখন নির্বাচনে দাঁড়ান, মানে নিজের জন্য ভোট চান, লোকসভার সেই ভোটে নাকি বিজেপি ১০/১২/১৪% বেশি ভোট পায়, সেই জন্যই নাকি কমাস আগেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে হারার পরেও ২০১৯ এ লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল, মোদিজি জিতেছিলেন। রাজনৈতিক সামাজিক প্রবণতা নিয়ে কিছু বলার আগে আপনার প্রচুর তথ্য প্রয়োজন, মানে ধরুন আপনি বলতে চান যে কেরালাতে প্রতিবারেই সরকার বদলে যায়, কখনও সিপিএম, কখনও কংগ্রেসের সরকার তৈরি হয়, এটা একটা রাজনৈতিক প্রবণতা। কিন্তু তার ভিত্তি কী? ১৯৮২ তে কেরালায় কংগ্রেসের সরকার ছিল, ১৯৮৭ তে সিপিএম এর, ১৯৯১ এ কংগ্রসের, ১৯৯৬ এ সিপিএম এর, ২০০১ এ আবার কংগ্রেসের ২০০৬ এ সিপিএম এর, ২০১১ তে আবার কংগ্রেস এল ক্ষমতায়, তারপর ২০১৬ থেকে দুটো টার্ম এ সিপিএম ক্ষমতায় আছে, মানে শেষ বারে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে নি, কিন্তু এতগুলো বছরের তথ্য এক প্রবণতাকেই তুলে ধরে, বলা হয়ে থাকে, মানে আপনি বলতেই পারেন যে কেরালাতে প্রতিবার সরকার বদলে যায়। কিন্তু যাঁরা বলেন নরেন্দ্র মোদি লোকসভার ভোটে দাঁড়ালেই ১০/১২/১৪% করে ভোট বেড়ে যায়, তাঁদের কাছে কোন তথ্য আছে? আছে সাকুল্যে ২০১৯ এর ভোটের তথ্য। যেখানে হঠাৎ করেই বিজেপির ভোট বেড়েছিল ১০/১২/১৪%। কিন্তু সেটা যে নরেন্দ্র মোদির জন্যই বেড়েছিল, সেটা কী করে প্রমাণিত হল? হ্যাঁ, উনি যদি বার চার পাঁচেক এই ক্যারিস্মা দেখাতে পারেন, অন্য কোনও কারণ ছাড়াই যদি কেবল ওনার উপস্থিতির জন্যই বিজেপির ভোট বাড়ে, তাহলে সে কথা বলাই যায়, কিন্তু এখানে একটাই ভোটের হিসেব থেকে এক মিথ এবং মিথ্যের জন্ম। কারণ ঘটনা তো দুবার ঘটেনি, ঐ ২০১৯ এই ঘটেছে।

 

বিজেপির ঐ ভোট বৃদ্ধিকে বরং অনেক সোজাভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়, ঐ বিপুল জয়ের কারণটা ছিল পুলওয়ামা, জঙ্গী জাতীয়তাবাদ, সেদিন পুলওয়ামা না ঘটলে বিজেপি ২২০/২৩০ এর বেশি আসন পেত না, মোদিজির আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হত না, কিন্তু সেই সত্যটাকে চেপে নির্বাচন পন্ডিতের দল এক মিথ্যের পশরা নিয়ে হাজির, মোদি নিজের জন্য ভোট চাইলেই নাকি মানুষ হেদিয়ে গিয়ে ভোটের বাক্স উজাড় করে বিজেপিকে ভোট দেবে। এটা ডাহা মিথ্যে, এক সযত্নে গড়ে তোলা মিথ মাত্র। আজ সেই সত্য বেরিয়ে আসছে মানুষের সামনে। মোদিজি, বিজেপির দাবি প্রচুর কাজ হয়েছে, বিরাট বিরাট যোজনা, মানুষ দারুণ খুশি, ওদিকে দেশ এখন বিশ্বগুরু, মোদিজি কে আমেরিকার বাইডেন এবং রাশিয়ার পুটিন একসঙ্গেই জাপটে ধরেন, লোকে খাবার পাচ্ছে, উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস পাচ্ছে, দেশ অমৃতকালে প্রবেশ করে বের হবার মুখেই আবার স্যুট করে কর্তব্যকালে ঢুকে পড়েছে, কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজেপি কে শিবসেনা কে ভাঙতে হচ্ছে, এনসিপি-কে ভাঙতে হচ্ছে, রাহুল গান্ধীকে নির্বাচনের আসরের বাইরে রাখতে হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে অনর্গল মিথ্যে প্রচার করতে হচ্ছে, প্রত্যেক বিরোধিতা কে ইডি বা সি বি আই দিয়েই সামলাতে হচ্ছে। এসব করছে কেন মোদি শাহ বা বিজেপির সরকার?

 

 

কারণ খুব পরিস্কার, বিজেপি বুঝেই ফেলেছে, ডেমোক্লিসের খড়গ ঝুলছে ঘাড়ের ওপরে, কাজেই এটা নতুন কিছু নয়, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কিছু ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখার চেষ্টা মাত্র। আর ক্ষমতা চলে যাবার মুখেই আবার ক্ষমতায় ফিরতে হলে সাধারণত যে সব শর্ট কার্ট পদ্ধতি নিয়ে থাকে শাসক দল, তা হল দল ভাঙানো, আরও বেশি করে প্রশাসনকে কাজে লাগানো, বিভিন্ন ক্ষমতা লোভী দূর্জনদের নিজেদের দিকে আনা, এগুলোর সবকটাই চালু করে দিয়েছে বিজেপি, একটা আসন তাই সই, তার জন্য দেশ ভেঙে যায় যাক, একটা কি দুটো আসন, তারজন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগে তো লাগুক, যেন তেন প্রকারেণ আসন চাই। কিন্তু এই প্রয়াস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক প্যানিক বাটনে চাপ দেয়, যা মানুষ বোঝে, এইসব ব্যবস্থায় লাভের বদলে ক্ষতি বেশি হয় এটা শাসকদল বোঝে না, বিজেপিও বুঝতে পারছে না। ধরুন তাদের প্রথম তিনটে টার্গেট, মহারাষ্ট্র, বিহার আর বাংলা। মহারাষ্ট্রে তাঁরা শিবসেনা ভেঙেছেন, একনাথ শিন্ডে গরিষ্ঠাংশ বিধায়ক নিয়ে গিয়েছেন বিজেপির জোটে, তাতেও কি ফল পাওয়া যাবে? সমীক্ষা বলছিল মহারাষ্ট্রের ৪৮ টা আসনের ২৪/২৬ টা পাবে মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি, কাজেই এবার এন সি পি কে ভাঙা হল, অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন ভুজবলদের বিরুদ্ধে ইডির মামলা তো চলছিলই, তারা দল থেকে বেরিয়ে এসে ঘোষণা করলেন তাঁরাই আসল এনসিপি। কদিন পরেই সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে এনসিপি কর্মী সমর্থকদের ৮০% মনে করেন শরদ পাওয়ারই তাঁদের নেতা। কাজেই শরদ পাওয়ার নির্বাচনের সময় গিয়ে বলতেই পারেন দূর্নীতিবাজ নেতারা দল ছেড়েছেন, আমার প্রার্থীকে ভোট দিন। কী হবে? সমীক্ষা বলছে এনসিপির ভোটারেরা শরদের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। লাভের মধ্যে লাভ হল নির্বাচনের সময় এতজন দলবদলুকে টিকিট দিতে হবে, না দিলে আরও বড় বিপদ। না বিহারে চেষ্টা চরিত্রের পরেও লালুর দল বা নীতিশের দল কোনওটাই ভাঙেনি, আর বাংলায় বিজেপিই ভাঙনের দোরগোড়ায়। আসলে ঐ মোদিজী বা অমিত শাহের পরবর্তী নেতৃত্বের দিকে চোখ ফেরান, ১০০% অপদার্থ নেতাদের দেখতে পাবেন। 

 

 

কে ছিল এই বাংলার দায়িত্বে, কোন বর্গী? কৈলাশ বিজয়বর্গী, গোহারান হারার পরে এই বাংলা ছেড়ে সেই যে গেছেন, আর ফেরেন নি, কিন্তু তখন? আজ রিমিঝিম মিত্র তো আগামীকাল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দলে যোগ করানোর সময়ে কি চওড়া হাসি, এখন তিনি কোথায়? কর্ণাটকের দায়িত্বে ছিলেন বি এল সন্তোষ, ভোটে হারার পরে তোমার দেখা নাই রে তোমার দেখা নাই, সে তো হল, এখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি চড়া দামে বিজেপির নির্বাচনী টিকিট বিক্রি করেছেন। ২০১৯ এ গুজরাটের সবকটা আসন পেয়েছিল বিজেপি, এবার পাবে? রাজস্থানে ও একই প্রশ্ন, ছত্তিশগড় বা মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকেও একই প্রশ্ন, এসব জায়গা থেকে কিছু না হলেই ৬০ টা আসন হারাবে বিজেপি। এরপর মহারাষ্ট্র বিহার আর বাংলা, এই তিন রাজ্যে ধস নামবে, দেখে নেবেন, ৬০/৭০ টা আসন কেবল এই তিন রাজ্যে যাবে। বাড়বে কোথায়? মণিপুর, নাগাল্যান্ডের আসন পাবে বিজেপি? এমন কি উত্তর প্রদেশেও গতবারের ফল ধরে রাখা খুব খুব কঠিন। এই যে ১৪০/১৫০ টা আসন চলে যাবে, তা পূরণ হবে কোথা থেকে? দক্ষিণ দুয়ার বন্ধ, মধ্য ভারতে হাল খারাপ, পূর্ব ভারতে বিজেপি নেই বললেই চলে, তাহলে? যেটা সত্যি সেটা হল বিজেপি দল, তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে বড় বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, কাজেই সোজা রাস্তা ছেড়ে তারা বাঁকা রাস্তায় চলা শুরু করেছে। অন্যদিকে বিরোধীদলগুলোও বুঝেছে একটা সুযোগ আছে, ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তি বিজেপিকে হারাতে পারবে, এটা বোঝার পরেই তাদের মধ্যেও খিদেটা দেখা যাচ্ছে, ম্যাচ জেতার খিদে, উইনিং স্পিরিট। 

 

রাহুল গান্ধী অনেক ম্যাচিওর, চোখ সামনের লোকসভা নির্বাচনের দিকে, বাংলায় অধীর চৌধুরির গলা চিরে গ্যালো, তৃণমূলকে পারলে একাই উৎখাত করে দেবেন, কিন্তু খেয়াল করুন কংগ্রেস দলের তরফে সেই স্তরের কোনও নেতা, বা রাহুল প্রিয়াঙ্কা বা সোনিয়া গান্ধী একটাও কথা বলছেন? বলেননি, উলটে ১৭ তারিখে নৈশ ভোজের নেমন্তণ্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাঁরা তো অধীর চৌধুরির মত উন্মাদ হয়ে যান নি, তাঁরা জানেন যে এই মূহুর্তে বাংলাতে মমতা বিজেপির ট্যালিকে নামাতে পারে, তাঁরা জানেন যে এই মূহুর্তে বিজেপিকে হারানোটাই প্রথম কাজ। এবং কংগ্রেসেও একটা নতুন চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে, দেশ জুড়েই, রাহুল গান্ধী অনেক পরিণত কিন্তু কংগ্রেসের ডাকে বেঙ্গালুরু কনক্লেভে নৈশ ভোজনে মমতা কেজরিওয়ালকে ডাকলেন সোনিয়া গান্ধী নিজে, গুরুত্ব দেবার জন্য। কনক্লেভের ব্যবস্থা দেখছেন ডি কে শিবকুমার, সাফ নির্দেশ, কেউ যেন গুরুত্ব পাচ্ছেন না বা কম গুরুত্ব পাচ্ছেন, এমনটা না মনে করেন। কংগ্রেস কেবলমাত্র নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেই হারিয়েছিল পঞ্জাব, সেটা বুঝেই তারা ছত্তিশগড়ে নেতৃত্বের লড়াই থামিয়েছেন, রাজস্থানে গেহলট পাইলট ঝগড়া আপাতত হলেও মিটেছে, উত্তরাখন্ডে সংগঠন বাড়াতে পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন রাহুল, শোনা যাচ্ছে ভোটের আগেই উত্তর পূর্ব থেকে পশ্চিমে গুজরাট পর্যন্ত পদযাত্রায় নামবেন রাহুল গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা এখন অনেক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন, শোনা যাচ্ছে কপিল সিব্বল আর ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং আবার দলে ফিরছেন, সব মিলিয়ে কংগ্রেস গোছাচ্ছে, আর বিজেপি গোলাচ্ছে। এখনও দশ মাস দেরি আছে লোকসভা নির্বাচনের, তার আগে পাঁচটা রাজ্যের নির্বাচন কিন্তু আলোচনা সব গিয়ে ঠেকছে ঐ লোকসভা নির্বাচন আর তার ফলাফলে। মনোবল বাড়ানোর জন্য এক মিথকে সামনে রাখা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনে কেবল মোদিজীই নাকি এনে দেবেন ১০/১৫% এক্সট্রা ভোট। সে পন্ডিতদের এই এক্সট্রা টু এ বি কঁহা সে আয়া, সেটা জানা নেই। কাজেই দশ মাস দশদিন পরে মোদিজি দিল্লিতে না আহমেদাবাদে থাকবেন, সেটাই তো বড় প্রশ্ন।   

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team