কলকাতা: দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর পর বার্লিনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন মেলায় (Berlin International Trade and Tourism Fair 2023) অংশ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। এই মেলাতে সাংস্কৃতিক–পর্যটন ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে পুরস্কৃত হচ্ছে রাজ্য। আন্তর্জাতিক স্তরের একটি পর্যটন সংস্থা এই পুরস্কার দিচ্ছে। বিশ্বের এই বৃহত্তম মেলা শুরু হচ্ছে ৭ মার্চ। চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
বার্লিনে ৮ মার্চ রাজ্যের হয়ে এই পুরস্কার নেবেন পর্যটন দফতরের (West Bengal Tourism) প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের (CMO) সচিব পিবি সেলিম। রাজ্যের নামীদামি পর্যটন সংস্থা এই মেলায় যোগ দিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা এই মেলায় আসেন। তাই খ্যাতনামা পর্যটন সংস্থাগুলি সারা বছর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এরকম একটি বিশ্ব পর্যটন মঞ্চে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের (Tourism Investment) আবেদন করবে। এ রাজ্যের পর্যটনক্ষেত্র, তার পরিকাঠামো, সরকারের তরফ থেকে কী কী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, সব কিছু একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। শুধু পর্যটন ক্ষেত্রেই নয়, শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হিসেবেও যে এ রাজ্য লাভজনক তা দেখানো হবে, ওই প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: Ales Bialiatski:পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার নোবেলজয়ী বিয়ালিয়াতস্কি
এ রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর পর্যটন ক্ষেত্রে আমূল পটপরিবর্তন হয়েছে। রুগণ ও ভেঙে পড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলি ও তীর্থক্ষেত্রগুলিতে ঢালাও টাকা অনুমোদন করে সেগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়ে অনেক মন্দির ও মন্দির চত্বর সংস্কার করিয়েছেন। যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলি সরকারি উদ্যোগের অভাবে ধুঁকছিল, সেগুলি পুনর্গঠন করে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বহু জায়গায় হোম স্টে-র মাধ্যমে পর্যটকদের কম পয়সায় থাকার সুযোগের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাগুলির ভার্জিন স্পটগুলিকে নতুন পর্যটনের ঠিকানা হিসেবে গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার সেই অবদানেরই স্বীকৃতি মিলতে চলেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বার্লিনের এই পর্যটন মেলার যথেষ্ট কদর রয়েছে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে। তাই সেখানে বিশ্বের অন্যান্য বৃহৎ দেশগুলির মধ্যে ঠাঁই পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, যা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়।