কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে অশান্তি এবং মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল জাতীয় তফসিলি কমিশন (National Schedule Commission) (এসসি এসটি কমিশন)। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এসসি কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট না দিলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (State Election Commissioner Rajiv Sinha) দিল্লিতে তলব করা হবে জানিয়েছেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার (Vice Chairman of the Commission Arun Halder)।
মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের হিংসা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। জখম হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। গত তিনদিন ধরে কার্যত আগুন জ্বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেয দিনে ভাঙড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও বাম কংগ্রেসের মিছিলে হামলায় অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। সিপিএমের দাবি সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। এই সব এলাকাতে প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তফসিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।সেই কারণেই জাতীয় এসসি এসটি কমিশনের এই তৎপরতা বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। তবে সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার কারণে কোনও জাতীয় কমিশনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করা বা তার কাছে রির্পোট চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: BCCI | হারের পরই শিক্ষা! ২০ তরুণ আলরাউন্ডারকে প্রস্তুত রাখছে বিসিসিআই
শুধু স্পর্শকাতর এলাকা নয়, গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল কমিশন-রাজ্য সরকার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল হিংসা। ঘটনার প্রতিবাদে আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকী দলবল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থানে বসেন। বিকেলেই তিনি কমিশনের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা দাবি করেন। তাঁর আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু ভোট করাতে প্রথম থেকেই ব্যর্থ। বিকেলে কমিশনের সামনে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ চলে। দিনভর সেখানে দফায় দফআয় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস, বিজেপি প্রভৃতি রাজনৈতিক দল।