Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ |
K:T:V Clock

Placeholder canvas
Fourth Pillar | ইউনিফর্ম সিভিল কোড আমাদের সমাজ আর দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে      
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩, ১০:২০:০০ পিএম
  • / ২৪২ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

গত দু’দিনের আলোচনার রেশ ধরে বলি, ইউনিফর্ম সিভিল কোড হল ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধর্মের যে আইন, রীতি রেওয়াজ আছে, যা তাদের বিয়ে, ডিভোর্স, খোরপোশ, উত্তরাধিকার, দত্তককে ঘিরে গড়ে উঠেছে, তার বদলে একটা সমান আইন। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড প্রসঙ্গ তুললেন এবং তিন তালাক, মুসলমান পার্সোনাল ল নিয়েই কথা বললেন, ধারণা দেবার চেষ্টা করলেন যে দেশে কেবল ইসলামিক পার্সোনাল ল আছে, সেটা তুলে সারা দেশে এক আইনের কথাই তিনি বলছেন। যেটা উনি চেপে গেলেন, বা ১০০ শতাংশ মিথ্যে বললেন, তা হল দেশে প্রায় সমস্ত ধর্ম, জাতিগোষ্ঠীর পার্সোনাল ল আছে, যা তাদের বিয়ে, ডিভোর্স, খোরপোশ, উত্তরাধিকার বা দত্তক বিষয়ে চূড়ান্ত। হিন্দু পার্সোনাল ল আছে, পার্সি পার্সোনাল ল আছে, জৈন বা বুদ্ধিস্ট পার্সোনাল ল আছে, মুসলিম পার্সোনাল ল আছে, খ্রিস্টান পার্সোনাল ল আছে এবং সারা দেশের উপজাতি, শিডিউল ট্রাইবদেরও পার্সোনাল ল আছে, যার দ্বারা তাঁদের সমাজ চালিত হয়। ওই যে বহুবিবাহ, এ নিয়ে মিথ হল মুসলমানরা চারটে বিয়ে করতে পারে, অতএব তাদের মধ্যেই বহুবিবাহ বা পলিগ্যামি সবচেয়ে বেশি। ১৯২১ থেকে ১৯৩১, ৪১, ৭১ পর্যন্ত এই বহুবিবাহের গণনা হয়েছে, তারপর তা করা হয়নি। তো শেষ যে হিসেবটা কী বলছে? বহুবিবাহ উপজাতিদের মধ্যে ১৫ শতাংশের বেশি, এরপর বুদ্ধিস্ট, তারপর জৈন, তারপর হিন্দু ৫.৮, তারপরে মুসলমান মানুষজন ৫.৭। অর্থাৎ অন্তত ১৯৭৫-এও মুসলমানদের মধ্যে বহুবিবাহিতদের সংখ্যা হিন্দুদের চেয়ে কিছুটা হলেও কম ছিল, এবং এটা ১৯২১ থেকে ৭১-এর জনগণনা পর্যন্ত সত্যি। এরপর এই বিষয় নিয়ে সার্ভে হয়নি, কিন্তু হঠাৎ করে এই প্রবণতা কমে যাবার কোনও কারণ নেই বলেই ২১তম ল কমিশনে এই তথ্য এনে হাজির করা হয়েছে, যা মোদিজিদের পছন্দ হয়নি। সেইজন্য ২১তম ল কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে কোনও আলোচনাও নেই। 

মোদিজি নিজেই এই কমিশন তৈরি করলেন, মাথায় নিজেই জাস্টিস চৌহানকে বসালেন, কিন্তু যেহেতু রিপোর্ট অন্য কথা বলছে তাই তাকে তাকে তুলে রাখলেন। এরফলে কী কী হতে পারে? অবিবেচকের মতো কেবলমাত্র নির্বাচনে তীব্র মেরুকরণের সুবিধে নেবার জন্য যদি এই ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কথা বলা হয় তাহলে দেশের আদিবাসী জনজাতিরা তা কীভাবে নেবেন? ইতিমধ্যেই নাগাল্যান্ড থেকে তীব্র বিরোধিতা এসেছে, কুকি মিজোদের বিরোধিতার কথা তাঁরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরাতে যে তিপ্রা মথার জোরে বিজেপি ক্ষমতায় তাঁরা জানিয়েছেন এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড তাঁরা মানবেন না। শিখদের সর্বোচ্চ কমিটির সিদ্ধান্ত এই ধরনের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা হবে, অকালি দল বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তামিলনাডুতে বিজেপির শরিকদল এআইডিএমকে তাদের সিদ্ধান্ত গতকাল জানিয়েছে, এই ইউনিফর্ম সিভিল কোড তাঁরা মানবেন না, এই একই কথা উপজাতিদের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে উঠতে শুরু করায় সংসদের আইন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বসেই বিজেপির সুশীল কুমার মোদি জানিয়েছেন এই ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বাইরেই রাখা হবে উপজাতি জনজাতিদের। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজির হাতে এক পরমাণু বোমা, যা উনি ২০২৪-এর জন্যই ব্যবহার করবেন 

মানে ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে এল, এই আইন সবার জন্য সমান আইন নয়, এই আইন আনার কথা বলে বিজেপি আসলে হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের ৮-৯ শতাংশ উপজাতি মানুষদের মন রাখতে তাদের যদি এই আইনের বাইরেই রাখা হয়, তাহলে সেটাকে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বলা যাবে কী করে? এবং দেশের ১৬-১৮ শতাংশ মুসলমানদের পার্সোনাল ল-কে বাতিল কেন করা হবে? অর্থাৎ এই আইনের প্রসঙ্গ উঠতেই দেশের বিভিন্ন দিক থেকে বিরোধিতা আসতে শুরু করেছে। এই আইন আনা হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখনই ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা শুরু হবে, এবং অবশ্যই সারা দেশ আবার অশান্ত হবে এই ইউনিফর্ম সিভিল কোডকে ঘিরে। পঞ্জাব থেকে কাশ্মীর জ্বলবে, দক্ষিণে স্তব্ধ হবে জনজীবন, এটাই কি চাইছেন নরেন্দ্র মোদি? এবং সব থেকে বড় কথা হল ইউনিফর্ম সিভিল কোড এনে বাতিল করা যাবে মুসলিম পার্সোনাল ল? উপজাতিদের বিয়ে বা উত্তরাধিকার বিষয়ে তাঁদের রীতি নীতি? একটা তিন তালাক আইন এনে শিক্ষা হল না সরকারের? এবার ওই সম্বিত পাত্র, সাই দীপক বা অমিত মালব্য গোছের কিছু প্রচারক এবং যাতে আবার জেলে যেতে না হয় তেমন সাংবাদিকেরা অন্য আরেক যুক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। এঁরা খানিক ইংরিজি বলতে পারেন, ন্যাশনাল টিভি আর সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থিতি বিরাট, এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এনাদের পরিবেশ বিষাক্ত করার ক্ষমতাও অনেক বেশি। এনাদের যুক্তি হল আমাদের সংবিধানের ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালেই তো আছে যে উই মানে আমরা, মানে দেশ, শুড এনডেভার, মানে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, টু কাম উইথ আ ইউনিফর্ম সিভিল কোড ফর অল সিটিজেন। তবে? সংবিধানে ডাইরেকটিভ প্রিন্সিপালস-এর অধ্যায়ে ৪৪তম ধারায় সাফ বলা আছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনার জন্য দেশকে মানুষকে সচেষ্ট হতে হবে। তাই মোদিজি ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কথা বলছেন। একটু বুঝে নেওয়া যাক। 

সংবিধানে আমাদের কিছু মৌলিক অধিকার আছে, সেখানে আমাদের কথা বলার অধিকার, মনের ভাব প্রকাশ করার অধিকার, দেশের যে কোনও জায়গায় যাবার, বসবাস করার অধিকার, নিজের ইচ্ছে মতন ধর্ম পালনের অধিকার ইত্যাদি দেওয়া আছে। এর একটাও আপনি যদি না পান, তাহলে আপনি আদালতে যেতে পারেন, বলতেই পারেন যে আমি অমুক দিন একটা মিছিল করে আমাদের দাবির কথা বলতে চাই, আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। বিচারক আপনার কথা শুনবেন এবং বিচার করবেন, আপনি যাতে ন্যায় পান, তার ব্যবস্থা করতে বাধ্য আমাদের দেশ, প্রশাসন এবং আদালত। কিন্তু এই মৌলিক অধিকারের বাইরে বহু বিষয় হলে ভালো হত এমন বিষয় সংবিধানের ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালস-এ রাখা হয়েছে, মানে সংবিধানের নির্দেশ এগুলো রাষ্ট্র, সরকার, দেশ দেখুক, এগুলোর জন্য চেষ্টা করুক, কিন্তু এগুলো না করলেই আদালতে চলে যাওয়া যাবে এমন নয়। বলাই যায় যে আম্বেদকরের নেতৃত্বে সংবিধান প্রণেতারা বেশ কিছু ভালো ভালো ইচ্ছের কথা সংবিধানে রেখেছেন, যেগুলো হলে ভালো হয়, কিন্তু তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে রাখেননি। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন সমাজ মাটির তাল নয়, তাকে যখন খুশি যেমন খুশি আকার দেবার চেষ্টা করলে, সমাজ দেশ রাষ্ট্র ভেঙে যাবে, তাই তাঁরা এসব ভালো ভালো কথা বলে রেখেছেন যা আমাদের চেষ্টা করা উচিত, কিন্তু তার জন্য সেই পরিস্থিতির দরকার। আপনি বলতেই পারেন কীভাবে আসবে সেই পরিস্থিতি? কবে আসবে? স্বাধীনতার পরে ৭৫টা বছর কেটে গেল, আর কতদিন লাগবে তেমন পরিস্থিতি আসতে? তাহলে এক আলোচনার পরিসর আমাদের সামনে আসে যেখানে আমাদের বুঝতে হয় আইন কী, আইন কেন? 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আগুন লাগানোর নতুন খেলায় মেতে উঠেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী       

বহু প্রাচীন কালে আইন তৈরি হয়েছে সমাজের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে, রাজার পুত্র নেই, রাজা দত্তক নেবেন, আইন হয়েছে, রাজার স্ত্রী অসুস্থ, পুত্র সন্তান হচ্ছে না, রাজার আবার বিয়ে হবে, বিবাহ আইনের সূচনা, চার পুত্র তিন কন্যা, কে পাবে রাজত্ব? খেয়াল করুন রামায়ণে চার পুত্র, কন্যা শান্তা দশরথের ঘরে বড় হচ্ছেন না, রাজা রোমপাদ শান্তাকে দত্তক নিয়েছেন, তাঁর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে রামের জন্মের বহু আগেই ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির সঙ্গে, যিনি পরে দশরথের পুত্রসন্তানের জন্য যজ্ঞ করছেন। সেই শান্তার কথা রামের জন্মের পরে আর নেই আর মহাভারতে পাণ্ডবদের পাঁচ পুত্র আর কৌরবদের একটা বোন যার নাম দুঃশলা, ১০০ জন ভাইয়ের ভেতরে সেই বোন হারিয়েই গেছে। কারণ? রামায়ণ মহাভারত রচয়িতারা সম্পত্তির অধিকারে নারীদের অধিকার নিয়ে কোনও কথাই বলতে রাজি হননি। কিন্তু এই সব অধিকার বা আইন বা রীতিনীতিকে লাগু করার জন্যই ছিল ধর্ম। ধর্মকে সামনে রেখেই এই আইন চালু করা হত। হিন্দুদের বিচিত্র শাখা, প্রশাখা, ভাগ, অংশ কাজেই হিন্দু ধর্মের একেক জায়গায় একেক আইন, এমনকী হিন্দু পার্সোনাল কোডেও ওই দায়ভাগ আর মিতাক্ষরা আছে, দু’ভাবে উত্তরাধিকারের কথা বলা আছে। উপজাতিদের আরও আলাদা কারণ তাঁরা একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন, একে অন্যের থেকে আলাদা। তাদের যে অংশ মাতৃতান্ত্রিক সমাজ রীতি মেনে চলে তাদের উত্তরাধিকার থেকে বিবাহ বা ডিভোর্স এক্কেবারে আলাদা। পাঁচ বোন কিন্তু স্বামী একজনই, এমন বহু আছে, একে কার পলিগ্যামি বলবেন? এমনি হিসেবে তো ওই পুরুষটি পলিগ্যামিস্ট, যদিও এই বিয়ের সিদ্ধান্ত তাঁর ওপরে নির্ভরই করেনি। এরকম বহু জটিলতা আছে। বিষয়ে ফেরা যাক, ধর্মকে সামনে রেখেই আইন তৈরি হয়, কাজেই প্রত্যেক ধর্মের পার্সোনাল কোড আলাদা। এরমধ্যে হিন্দু পার্সোনাল কোড বহুবার সংশোধন করা হয়েছে। শেষ ৫৪-৫৫ সালে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে প্রায় জোর করেই এই পার্সোনাল ল-তে সংশোধন আনা হয়, তখন এই জনসংঘ, হিন্দু মহাসভা, আরএসএস তার তীব্র বিরোধিতা করেছিল, বিরোধিতা নয় বিষ উগরেছিল ওই গোরখপুরের গীতা প্রেস, যাকে এবার গান্ধী পুরস্কার দেওয়া হল। দেশের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের বিরোধিতা ছিল, জওহরলাল নেহরু হিন্দু ভোটের কথা মাথাতেও আনেননি, হিন্দু কোড বিলে সংশোধন এনে বিয়ের বয়স থেকে মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার নিয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। হিন্দুদের বেশিরভাগ অংশই এই সংশোধনকে সমর্থন করেছিলেন, ১৯৫৭ র নির্বাচনেও নেহরু এবং কংগ্রেস অনায়াসে জিতেছিলেন। তো এইভাবে ধর্মের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আইনের সংশোধন কখনই বাইরে থেকে সম্ভব নয়, তা অবশ্যই ভেতর থেকেই করতে হবে এবং তারজন্য সেই সমাজে এক পরিবেশ ও গড়ে তুলতে হবে যা তাদেরকে উদার করে তোলে, বিশ্বের আরও দশটা সভ্য সমাজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে। এই সংশোধন কোনওদিনও এক চরম সংখ্যালঘু বিরোধী সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়, করতে গেলে আগুন লাগবে। 

আবারও সেই প্রশ্ন উঠবেই যে তেমন পরিবেশ কীভাবে হবে? কবে হবে? তাহলে আসুন না ওই সংবিধানের ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালস, সংবিধানের নির্দেশিকার তালিকাতে চোখ বোলাই। ওই নির্দেশিকায় আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ৪৪ ধারাতে তো বলেছেন ইউনিফর্ম সিভিল কোডের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে, কিন্তু ওই ৪৪ ধারার আগে আর কিসের কিসের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে বলেছেন, সেটা একটু দেখে নিই। ৩৮-এর একের ধারায় বলা হচ্ছে, সামাজিক আর্থিক ন্যায়ের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। মোদিজি দারুণ সচেষ্ট, তাই তাঁর দলের কারিয়াকর্তা এক আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব করে দেন। আর্থিক সমানতার কথা তো মোদিজিকে দেখলেই বোঝা যায়, ওনার রোদচশমা থেকে পোশাক থেকে জুতো দেখলেই তো দেশের আমজনতার কথাই মনে পড়ে তাই না? ওই অধ্যায়ের ৪১ ধারায় বলা হয়েছে রাইট টু ওয়ার্ক, রাইট টু এডুকেশন, মানে মানুষকে কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে দিতে হবে। মানে আপনি আপনার উপযুক্ত শিক্ষা বা চাকরি না পেলে আদালতে গিয়ে বলতে পারবেন, হুজুর আমি ডাক্তারি পাশ করেছি, কিন্তু আমার পরার সামর্থ্য নেই, সরকার এর ব্যবস্থা করছে না, বা হুজুর আমি চাকরি পাচ্ছি না, সরকার হয় চাকরি দিক না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা করুক, ওই ১৫০০ টাকা বেকার ভাতা নয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা। এগুলোও তো আছে এই ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালে, ৪৪ ধারার আগেই আছে। মোদি–শাহ, আরএসএস–বিজেপি সেটা জানে না? সেগুলো দিয়েছে? ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালে আর্থিক সমানতার কথা বলা হয়েছে, মোদিজির বন্ধু মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তি ১৪ হাজার সাতশো কোটি টাকা, দেশের মানুষের এক মাসের গড় আয় ১৪ হাজার টাকা, গ্রামীণ মানুষের গড় আয় ১১ হাজার, আর প্রান্তিক চাষিদের গড় আয় ৫৭০০ টাকা। এসব নিয়ে চিন্তিত মোদিজি? বিলকুল নয়, উনি আগুন লাগাতে চান দেশজুড়ে এবং সেই আগুনে সেঁকে নিতে চান রুটি। আমরা তা হতে দিতে পারি না।

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

মুখ্যমন্ত্রীর চটি ছিঁড়ে যাওয়াকে কটাক্ষ দিলীপের
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
ভরাডুবির মরসুম নিয়ে কী সাফাই দিলেন হার্দিক
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
বজরংবলীর আশীর্বাদ পাবেন ৫ রাশির জাতক
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Stadium Bulletin | কোন ৫ কারণে প্লে-অফের দোরগোড়ায় KKR?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে সতর্কবার্তা নির্বাচন কমিশনের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
কখন শচীনের দ্বারস্থ হন কোহলি?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
চোটে জর্জরিত ম্যান ইউয়ের আজ কঠিন লড়াই
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মমতার দিদিগিরি বরদাস্ত করব না, কলকাতায় ফিরেই হুঙ্কার রাজ্যপালের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতায়
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সুদীপের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
মঙ্গলবার ৪ কেন্দ্রে ভোট, সব বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
সন্দেশখালি ভাইরাল ভিডিওতে কন্ঠস্বর গঙ্গাধর-জবারানির, দাবি শান্তি দলুইয়ের
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
জিতলে গম্ভীরের কৃতিত্ব হারলে দায় শ্রেয়সের? প্রশ্ন কিংবদন্তির  
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
রক্ষাকবচ সত্ত্বেও গ্রেফতার বিজেপি নেতা?
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.   Privacy Policy
Developed By KolkataTV Team