গণপদত্যাগের (Mass Resignation) ধাক্কায় বিপর্যস্ত টুইটার (Twitter)। সংস্থার নিজস্ব গ্রুপ চ্যাটে শয়ে শয়ে কর্মীরা স্যালুট ইমোজি পাঠিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা প্রতিষ্ঠান ছাড়ছেন। বেশ কিছু প্রযুক্তিবিদ ইতিমধ্যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এলন মাস্ক (Elon Musk) এমনই একটা কাজের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন যেখানে নিজেদের কাজের মান বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানে থাকা সম্ভব নয়। আর এজন্যই তাঁরা ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবশ্য তাঁদের ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার কারন টুইটার কর্ণধারের একটি ই-মেল (Email)। ওই মেল মারফত এলন জানিয়েছিলেন, তাঁর শর্ত পছন্দ না হলে বা মানতে না চাইলে কোনও অসুবিধা নেই। কর্মীরা নির্বিঘ্নে তিন মাসের বেতন নিয়ে কাজ ছাড়তে পারেন। টুইটারের বাইরের দরজা তাঁদের জন্য সব সময় খোলা আছে।
এলনের শর্ত টুইটার যে ভাবে বিপুল ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি কাজ করা ছাড়া সংস্থাকে বাঁচানোর আর কোনও উপায় নেই। তাই টুইটারের কর্মীদের এলন জানিয়েছেন, পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত হতে।
ওই বিষয়ে কর্মীদের একটি অনলাইন ফর্মেও (Online Form) সই করতে বলেছেন টুইটারের নতুন কর্ণধার। সেই ফর্মে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা ভাল করে পরিশ্রম না করলে টুইটার ছেড়ে দিতে পারেন। কর্মীদের ওই সিদ্ধান্ত সংস্থার ভবিষ্যত সাফল্যের জন্যই নেওয়া হয়েছে ধরে নিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হবে।
ইতিমধ্যেই টুইটারের অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক। যার জেরে বাকি কর্মীদের মাথার উপরে আরও ছাঁটাইয়ের ভয়ও রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি জানিয়েছিলেন, টুইটারে দিনে ৪০ লাখ ডলার (Dollar) লোকসান গুনছে। তাই পরিবর্তন ছাড়া প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর অন্য কোনও উপায় নেই। টুইটার কর্মীদের তাঁর শর্তে রাজি হওয়ার সম্মতিসূচক প্রতিক্রিয়া হিসাবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হয়েছিল। কিন্ত প্রতিষ্ঠানের বহু কর্মচারী ওই মেল পাওয়ার পর থেকে স্যালুট জানিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন, এলন মাস্ক-এর দেওয়া শর্ত মানছেন না।