ঝাড়গ্রাম: বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে কুড়মি (Kurmi) জনজাতির আন্দোলন। জঙ্গলমহলে এর প্রভাব পড়েছে অনেকটাই। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে কুড়মিদের তৃণমূল (TMC) বিরোধী মনোভাব। ঝাড়গ্রামের রাধানগর অঞ্চলে কুড়মিদের ঝান্ডা খুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ। রীতিমতো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে।
কুড়মি অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার রাধানগর অঞ্চলের একটি গ্রাম দোরখুলি। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ ওই গ্রামে গিয়ে কুড়মিদের ঝান্ডা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই ওই এলাকার কুড়মি মহিলারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে আটক করে বিক্ষোভ দেখান। কুড়মি লোকজনের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন:Sukanta Majumdar | কমিশনের দফতরের সামনে অবস্থানে বিক্ষোভের হঁশিয়ারি সুকান্তর
উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। গ্রামবাসীদের হাত থেকে আটক থাকা অঞ্চল সভাপতিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন, কুড়মিরা, জানায় গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে এর প্রতিবাদ করা হবে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
কুড়মি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বারবার আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি জনজাতির মানুষের। অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন পাঠানোর দাবিতে রেল অবরোধ, জাতীয় সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়েছে কুড়মি সমাজের মানুষেরা। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক শিবিরের সম্মুখ সমরে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মিরা। যদিও জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি দাবি করে বলেছেন, “কুড়মিদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছেন। জঙ্গলমহলে শাসকের পাশে সব থেকে বেশি দাঁড়াবে কুড়মি সমাজের মানুষেরাই”। যদিও কুড়মিদের থেকে উলটো সুর শোনা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থানীয় এক কুড়মি নেতা জানান, “তৃণমূলকে সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই নেই। বিনা দোষে, বিনা বিচারে আমাদের নেতাদের তাঁরা জেলবন্দি করে রেখেছে। যেখানে আমাদের নেতা কর্মীদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার সঙ্গে কোনও যোগ নেই।