বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল (TMC) থেকে কংগ্রেসে (Congress) যোগ অব্যাহত। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের (Murshidabad Zilla Parishad) বিদায়ী স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তৃণমূলের দাবি, বিদায়ী স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ আনারুল হক বিপ্লবকে (Anarul Haque Biplab) গত ২০২১ সালে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। দল বিরোধী কাজের জন্য বহরমপুর রবীন্দ্রসদন হলে এক সভা শেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)) জেলার বেশ কিছু তৃণমুল নেতাকে দল বিরোধী কাজের জন্য বরখাস্ত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আনারুল হক বিপ্লবও ছিলেন। সেই আনারুল হক বুধবার অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এদিন ওই যোগদান মঞ্চ থেকেই আনারুলকে জেলা পরিষদের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অধীর চৌধুরী। এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, আনারুল গ্রাম পঞ্চায়েতে টাকা খাওয়ার জন্য তৃণমূলে গিয়েছিল এটা বিশ্বাস করি না। ও নিজে ব্যবসায়ী। এরা কংগ্রেসেরই ছেলে। কংগ্রেসে ফিরেছে। ওর কাকা তৃণমূলের সাংসদ। পঞ্চায়েতে কাকা, ভাইপোর লড়াই হবে। ভাইপো কাকাকে খাঁচায় ভরে রাখবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায়ই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেসে যোগদান চলছে। তবে তা সাধারণত পঞ্চায়েত, ব্লক স্তরের নেতা কর্মী। এবার জেলা স্তরের নেতা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির। সম্প্রতিমুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা ব্লকের কুলি মাঠে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Choudhury) হাত ধরে দেড় হাজারের বেশি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক যোগদান করেন কংগ্রেসে। অধীর চৌধুরী ছাড়াও ওই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের (Congress) মুখপাত্র জয়ন্ত দাস, প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের মহকুমা সভাপতি সফিউল আলম খান, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম সিনহা, তাপস দাশগুপ্ত, শিলাদিত্য হালদার সহ একাধিক নেতৃত্ব। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই চলে সভা। তারপর একাধিক দিনে বহরমপুরে কংগ্রেসের পার্টি অফিসে কংগ্রেসে যোগদান হয়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: Train Accident | ফের দুর্ঘটনার কবলে রেল, অন্ধ্রপ্রদেশে লাইনচ্যুত মালগাড়ি
এদিকে অধীর চৌধুরী এদিন জানিযেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে এই রাজ্যে সন্ত্রাস চলবে। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদার নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবে না তৃণমুল, সেকারণে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে তৃণমুল, কিন্তু রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট সম্ভব নয়।