কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার চলাকালীন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠল। সোমবার প্রচারের শেষ দিনে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেই সময় আচমকা বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যা ক্রমে হাতাহাতির রূপ নেয়। সেই সময় দিলীপবাবুর দুই নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল।
একটি ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস টুইটারে লিখেছে, কিভাবে দিনের বেলা এভাবে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বন্দুক তাক করা যায়? যে নেতাদের জনগণ সমর্থন করে না, তাদের বিরুদ্ধে কি প্রতিবাদ করার অধিকার নেই? মানবাধিকারের লঙ্ঘনের এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক! এই ঘটনা প্রমাণ করছে, ভবানীপুরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।
ভিড়ের মধ্যে তুমুল ধাক্কাধাক্কি
এ দিন প্রচারে বেরিয়ে টিকাকরণ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢোকেন দিলীপ। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। সেখানেই তৃণমূলের মারে এক সমর্থকের মাথা ফাটে বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দিলীপবাবু ঢোকায় সেখানে ব্যাপক গোলমালের সৃষ্টি হয়। ভ্যাকসিন প্রাপকদের লাইনেও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কর্মীরা লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের সরে যেতে বলেন। এর ফলেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভিড় হঠানোর চেষ্টা করেন। ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
পুরো ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করছি তাতে ভয় পাওয়ার কী আছে? টেনশন নেওয়ার কী আছে? আপনি মাঠেও আটকাতে পারবেন না, ভোটেও পারবেন না। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
দিলীপকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, বিজেপি নেতারা সেলফ ইম্পর্টেন্সি ক্রিয়েটর। বিজেপি খায় না মাথায় দেয়? এদের কোনও গুরুত্বই নেই, তাই এরা কী বলল, কী করল, সেই নিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যাথাও নেই। সারাদিন ভবানীপুর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে শুধু মিথ্যাচার করে চলেছে, সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলে চলেছে, মানুষ এদের ওপর বীতশ্রদ্ধ। তাই অনেক জায়গায় মানুষ এদের এই বিভাজনের রাজনীতি ও মিথ্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করে ফেলছে।