নবগ্রাম: রক্তক্ষয়ী মনোনয়নেই রাজ্যজুড়ে জ্বলছে আগুন। ভোট প্রচারে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল হক (৪২)। নবগ্রামের (Nabagram) হজবিবি ডাঙ্গায় তৃণমূল নেতা (Trinamul Leader) মোজ্জামেল শেখ খুনের ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করল নবগ্রাম থানার পুলিশ। ভোট প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী মোহবুল্লা শেখ সহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল হকের ওপর চড়াও হয় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন তৃণমুল অঞ্চল সভাপতি। ওই একই এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থী রমজান শেখের বাবাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর (Congress Worker Injured) নাম মাহরুল্লাহ শেখ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই দুই ঘটনায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের তরজা তুঙ্গে। এলাকায় গুলি চলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
নবগ্রাম বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডলের দাবি , গতকাল রাতে ভোট প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী মোহবুল্লা শেখ সহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল হকের ওপর চড়াও হয় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সময় এলোপাথাড়ি গুলি চালালে নিহত হন তৃণমুল অঞ্চল সভাপতি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় কংগ্রেস কর্মী মেহেরুল্লা শেখের মাথায় গুলি লেগেছে, তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ তাঁদের কর্মীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে কংগ্রেস। ঘটনার প্রসঙ্গে এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। গতকাল রাতে ওই ব্যক্তির অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূলের ঝামেলা লেগে যায়। দুই পক্ষের গুলিতে নিহত হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবগ্রাম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | আজ নবজোয়ার শেষ, কাকদ্বীপে একই মঞ্চে মমতা-অভিষেক
কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Pradesh Congress President Adhir Chowdhury) বলেন, যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সাগরদিঘি লুঠ করতে গিয়েছিল, তারাই মুর্শিদাবাদে নবগ্রামে সন্ত্রাস ছড়াছে। আমরা নিজদের রক্ষা করার জন্য প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি। যারা রক্ষা জন্য সাহায্য চাইতে যায় তারা কাউকে খুন বা আক্রমণ করতে পারে না। অন্যায় জুলুম করলে, মিথ্যে কেসে ফাঁসালে কংগ্রেস চুপ করে বসে থাকবে না।