সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল জাল তৈরির কারখানা। কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের দেওয়া এই গোপন রিপোর্টের ভিত্তিতে পূর্ব কলকাতা জুড়ে বিশেষ অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স বা এসটিএফ।
এরপর এই গোয়েন্দা অভিযানেই খোঁজ মিলল জালনোট তৈরীর কারখানা গুলির। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সমীর খান, তাইজান আহমেদ এবং ইমরান হোসেন ওরফে রাজাকে। পূর্ব কলকাতা ছাড়াও শহরের আর কোন কোন জায়গায় তারা এই কারবার চালাত তা জানতে লালবাজারের নিয়ে এসে দফায় দফায় তাদের জেরা করছেন স্পেশাল টাস্কফোর্স এর গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে বিধায়কের বিরুদ্ধে দলিত মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ
কয়েকদিন আগেই শুল্ক দফতর বেনিয়াপুকুর থানাকে একটি গোপন রিপোর্ট পাঠিয়ে জানায়, এই অঞ্চলে রমরম করে চলছে জালনোট তৈরীর কারখানা। সেই রিপোর্ট আসার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তের কাছে সক্রিয় হয় বেনিয়াপুকুর থানা এবং স্পেশাল টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন- সিরিয়াস রাজনীতির কথা বলেও কটাক্ষের শিকার ‘দাদু’ তথাগত
তদন্তে জানা গিয়েছে যে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা সমীর খান এই জাল নোট চক্রের অন্যতম পান্ডা। সেই খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে বুধবার সমীর খানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বেনিয়াপুকুর থানা এবং স্পেশাল টাস্কফোর্স। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪০০টি ১০০ টাকার জাল নোট।
আরও পড়ুন- ভিড়ের চাপে কাবুল বিমানবন্দরে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ
সমীর খানের সূত্র ধরে গোয়েন্দা পুলিশ হানা দেয় তপসিয়া তাই জান আহমেদের বাড়িতে। সেখান থেকে আটক করা হয় কম্পিউটার, জালনোট তৈরীর প্রিন্টার এবং স্ক্যানার। গ্রেফতার করা হয় তাইজান আহমেদকে। এরপর তাকে জেরা করে রিপন স্ট্রিটের আরো একজন জাল নোট তৈরি কারবারি ইমরান হোসেন ওরফে রাজার সন্ধান পায়নি পুলিশ। সেখানে চলে তল্লাশি। তার কাছ থেকেও মিলেছে প্রচুর জাল নোট।
আরও পড়ুন- শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় একাধিক ইস্যুতে মামলা দায়ের হাইকোর্টে
এই নোটগুলি দেখে গোয়েন্দা পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। তারা জাল নোট ছাপা ছিল আসল কাগজে। সেই কাগজ আসে বিদেশ থেকে। এই কাগজ ভারতে একমাত্র পেতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক। পাশাপাশি ওই কাগজ পায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তবে কি এর পিছনে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে? গোয়েন্দারা এমনটাই সন্দেহ করছেন।