প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সংযোজন এআই। এমন একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করে। যা আসার পর থেকে একের পর এক কর্মসংস্থান সংকটের মধ্যে পরে। যার মধ্যে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘অপরাজিতা’ নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এক সংবাদ উপস্থাপিকা সংবাদ পড়ে হতবাক করেছে সবাইকে। কিছুদিন আগে ভারতেও একজন এআই সংবাদ উপস্থাপিকা ‘সানা’ কে দেখা যায় খবর উপস্থাপনা করতে।
বিজ্ঞানসৃষ্ট এই এআই সাধারণ মানুষের জন্য যেমন আশীর্বাদ তেমন অভিশাপও। কারণ ধীরে ধরে সমস্ত পেশার বিকল্প হয়ে উঠছে এআই। ফলে চাকরি হারাচ্ছে শত শত মানুষ। এক ধাক্কায় বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে এআই ব্যবহারের জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন একটি পেশা আছে যেখানে এআই কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। তা হল ধর্ম প্রচার।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫১ বছর বয়সে মৃত্যু পেপারফ্রাইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতার
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধর্মীয় কাজকে চাকরি বলাটা ঠিক হবে না। তবে ধর্মীয় কাজ করে অনেকেই মাসে আয় করেন। ধর্মীয় কাজ পরিচালনার জন্য বহু মানুষের প্রয়োজন হয়। তবে তাদের কাজগুলো এআই কখনো করতে পারেব না। গবেষণা বলছে, বিশ্বের একাধিক শিল্প বা ইন্ডাস্ট্রি এআই দখল করলেও এই ক্ষেত্রে মানুষের কাজ নিতে পারবে না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আসলে এআই যদি ধর্মীয় কাজ করে তা হলে বহু মানুষের বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে। এই বিশ্বাসের সঙ্গে আবেগ, শ্রদ্ধা জড়িয়ে রয়েছে। আর মেশিন তো আর আবেগের জন্ম দিতে পারবে না!
সম্প্রতি জাপানের কিয়োটোতে কোডাই-জি বৌদ্ধ মন্দিরে মিন্ডার নামক একটি রোবট ধর্মীয় কাজকর্ম করছিল। একেবারে মানুষের মতো দেখতে। ১০ লাখ ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে রোবটটিকে। কিন্তু মন্দিরে যাওয়া প্রায় ৪০০ জনের মধ্যে অনেকেই সেই রোবটের মন্ত্রোচ্চারণ শোনার পর কম অনুদান দেন। বরং পুরোহিতের মুখে প্রার্থনা শুনে তারাই বেশি অনুদান দেন।