চেন্নাই: ‘ভুয়ো খবর’ (Fake News) ছড়ানোর অভিযোগে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) শাসকদল ডিএমকে-র (DMK) এক নেতা সংবাদমাধ্যম ‘অপইন্ডিয়া’র (Opindia) সিইও তথা সম্পাদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন। তামিলনাড়ুর আভাড়ি নগর পুলিশ কমিশনারটের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএমকের আইটি সেলের নেতা সূর্যপ্রকাশের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, তামিলনাড়ুতে কাজ করতে যাওয়া বিহারি (Bihar) পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বিভিন্ন ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ছিল। এই ভুয়ো খবরের পিছনে এই সংবাদমাধ্যমের হাত রয়েছে বলে শাসকদলের অভিযোগ।
ভুয়ো খবরের জেরেই রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দু রাজ্যের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলছে বলে ডিএমকে নেতৃত্ব মনে করে। যদিও একটি অংশের মত, এর পিছনে বিজেপির বড়সড় হাত থাকতে পারে। কারণ তামিলনাড়ু কিংবা বিহার কোনও রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায় নেই। ফলে ভিন্নভাষী দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিভেদ ছড়াতে পারলে আখেরে লাভ তাদেরই।
আরও পড়ুন: Lalu Prasad-CBI: ‘অসুস্থ’ লালুকেও রেয়াত করল না সিবিআই, টানা ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার পোর্টালের সিইও রাহুল রৌশন, সম্পাদক নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এঁদের কয়েকজন টুইটার পোস্টে রাজ্যে হিংসাত্মক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাসের জমি তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তামিলনাড়ু পুলিশ এর আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই, বিহার বিজেপি মুখপাত্র প্রশান্ত উমরাও এবং দৈনিক ভাস্করের সম্পাদক মহম্মদ তানভিরের বিরুদ্ধেও সোশাল মিডিয়ায় এ ধরনের পোস্ট ও মন্তব্যের কারণে এফআইআর করেছিল। সোশাল মিডিয়ায় কানাঘুষো শুনে বিহার রাজ্য সরকার তামিলনাড়ুতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়। দুই রাজ্য সরকারই অবিলম্বে এ জাতীয় ঘটনা বন্ধ করার ব্যাপারে সচেষ্ট হয়। বিহারের প্রতিনিধিরা তামিলনাড়ুতে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে, ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিহারের গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব বালামুরুগন জানান, তামিলনাড়ু সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তাতে আমরা খুশি। পরিযায়ী শ্রমিকদের মন থেকে ভয়ভীতি দূর করা গিয়েছে। অভিযোগ, হোলির কারণে তামিলনাড়ু থেকে বিহারমুখী শ্রমিকদের ভিড়কে দলে দলে পালাচ্ছেন বিহারিরা বলে প্রচার করা হয়েছে। এও দেখা গিয়েছে যে, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে, এ ধরনের ভিডিয়োও ভুয়ো। সবই চক্রান্ত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।