কেপটাউন: নামিবিয়ার (Namibia) পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে আসছে চিতা (Cheetah)। ভারতের (India) সঙ্গে এই মর্মে একটি চুক্তিও হয়েছে। এবার ধাপে ধাপে ১০০টি চিতা আসতে চলেছে ভারতের জঙ্গলে। ৭০ বছর আগে এদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় চিতা। তারপর গতবছর নামিবিয়া থেকে মহাদেশ পেরিয়ে ৮টি চিতা আনা হয় ভারতে। তাদের এখন রাখা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) কুনো জঙ্গলে (Kuno)। এবার খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার বুনো চিতা আস্তানা গাড়বে এদেশের জঙ্গলে।
ভারতের পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রে রয়টার জানিয়েছে, আগামী ১০ বছর ধরে ধাপে ধাপে প্রায় ১০০টি চিতা আনা হবে। তার প্রথম ধাপে আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ১২টি চিতা আনা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ মন্ত্রক এই খবর জানিয়েছে। গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে যে চিতাগুলি আনা হয়েছিল, এই ১২টিকে তাদের সঙ্গেই ঠাঁই দেওয়া হবে। এভাবে আগামী ৮-১০ বছর ধরে প্রতি বছর ১২টি করে চিতা আনা হবে ভারতে।
আরও পড়ুন: Mood of the Nation Survey: এই মুহূর্তে ভোট হলে মোদি না বিরোধীরা, কে জিতবে? কী বলছে সমীক্ষা
গতবছরই জানা গিয়েছিল, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি আফ্রিকান চিতা (African Cheetah) ভারতে আসবে। জানিয়েছিলেন লরি মার্কার (Laurie Marker), যিনি ছিলেন ‘প্রজেক্ট চিতা’র (Project Cheetah) মূল মধ্যস্থতাকারী। মার্কিন চিতা বিশেষজ্ঞ মার্কার আরও বলেন, চিতার বিলুপ্তির কারণ হল মানুষ। ওদের সংরক্ষণের বিষয়টিও নির্ভর করে মানুষের উপর। চিতা যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে এবং ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গেও মানাতে পারবে বলে তাঁর দাবি।
এদেশে আনুমানিক ৭০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায় এশীয় চিতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানাভাব, চোরাশিকার ও খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়ায় পিটিয়ে মারা ও শিকারের কারণে চিতা বিলুপ্ত হয়েছিল। সেভাবে এবারেও বিজেপি সরকার এই পরিকল্পনাকে নিয়ে জয়ডঙ্কা বাজালেও পরিবেশবিদরা ৮টি চিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, চিতার ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গা, শিকার, খাদ্য এবং শাবকদের কীভাবে বড় করবে তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাছাড়াও এই জঙ্গলে রয়েছে হায়নার পাল, দেশীয় চিতাবাঘ, যারা এই জাতীয় চিতার জাতশত্রু। বিশেষত অচেনা-অজানা পরিবেশে ও আবহাওয়ায় এরা আদৌ কতটা মানিয়ে নিতে পারবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।