নয়াদিল্লি: একুশের সভার পরই উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল দল। সে সময় দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে দুম করে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। আলভার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। কিন্তু, রাজনীতি ব্যক্তিগত সম্পর্ক দিয়ে হয় না। বৃহস্পতিবার কালীঘাটের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মূল অভিযোগ ছিল, যে ভাবে তাদের অন্ধকারে রেখে উপ রাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তা সমর্থন যোগ্য নয়। আর সে কারণেই আলভাকে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
অভিষেকের এই ‘অন্ধকার’ রাখার তত্ত্বকে ২৪ ঘণ্টা মধ্যেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল কংগ্রেস। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর, গত ১৫ জুলাই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি নিজে ফোন করেছিলেন মমতাকে। উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কথা বলার জন্যই এই ফোন করেছিলেন। যদিও ফোনের কথা জানানো ওই প্রবীন কংগ্রেস নেতার নাম প্রকাশ করেনি সংবাদ মাধ্যমটি।
ওই কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন, ১৭ জুলাই বিজেপি জগদীপ ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেছে। তার আগেই সোনিয়া চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে। কিন্তু, মমতার সঙ্গে কথা বলে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। যে ভাবে উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে তৃণমূল, তাতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা। এর পরই তিনি বলেন, মার্গারেটের বিষয়ে কথা হয়নি বলে যা বলা হচ্ছে, তা খুবই হতাশার।