নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ডের আর্থিক নয়ছয় মামলায় সোমবার ফের তলব করা হল সোনিয়া গান্ধীকে৷ বৃহস্পতিবার ওই মামলার প্রেক্ষিতে প্রথমবার ইডি জেরার মুখোমুখি হন কংগ্রেস সভানেত্রী৷ প্রায় তিনঘণ্টা জেরা চলে সোনিয়ার৷ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ইডি দফতর ছাড়েন তিনি৷ এই মামলাতেই এর আগে পাঁচবার ইডির জেরার মুখে পড়েন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজন অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদমর্যাদার মহিলা অফিসারের নেতৃত্বে পাঁচজনের টিম তৈরি করা হয়েছিল৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ৫০টি প্রশ্নের তালিকা৷
এদিন প্রিয়াঙ্কা ও রাহুলের সঙ্গে ইডি অফিসে পৌঁছন সোনিয়া৷ প্রায় তিনঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দফতর থেকে বেরিয়ে যান৷ অথচ রাহুলের ক্ষেত্রে প্রতিবার কমপক্ষে ৯-১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গিয়েছে ইডি৷ তাই বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রীর এত দ্রুত ইডি দফতর থেকে ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ গুঞ্জন ছড়ায়, অসুস্থতার কারণে সোনিয়া এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার অনুরোধ করেন ইডি অফিসারদের কাছে৷ যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেয় কংগ্রেস৷ দলের তরফে প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম বলেন, দুপুর তিনটের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির কাছে আর কোনও প্রশ্ন ছিল না৷ সোনিয়া নিজে থেকেই প্রশ্ন পর্ব চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেছিলেন৷ কিন্তু এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করে ইডি৷
এদিকে সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, পি চিদম্বরম, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপাল, অধীর চৌধুরী, শশী থারুর, সচিন পাইলট, অশোক গেহলটরা। দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু হলে অধীর চৌধুরী, কে সি বেণুগোপাল-সহ প্রায় ৭৫ জন সাংসদকে আজ আটক করা হয়। কংগ্রেস সমর্থকরা এর বিরোধিতা করে দিল্লির স্টেশনে তিনটি ট্রেন থামিয়ে দেয়৷