ভারতে মাদকের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মধ্য ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকের চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলেন, মাদকাসক্তরা অপরাধী নন, বরং ওরা মাদকের খপ্পরে পড়ে আক্রান্ত। এই বৈঠকটি হয়েছে গুজরাতের গান্ধিনগরে। শাহর এই বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল ‘মাদক পাচার ও জাতীয় সুরক্ষা’।
ওই বৈঠকে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই জানিয়েছেন, গুজরাত থেকে প্রচুর পরিমাণে মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে। গত জুলাই মাসেই গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে তিন হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এর মূল্য ৩৫০ কোটি টাকা। এরপরেও গুজরাত থেকে প্রচুর মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এও বলেছেন, মাদকচক্রকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করতে হবে। ধ্বংস করতে হবে মাদক চোরাচালানের উৎসও। শাহ এও বলেছেন, দেশের পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ হেরোইন ভারতে ঢুকছে। শুধুমাত্র তাই নয়, দেশের পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকাগুলি দিয়ে হেরোইনের চোরাচালানও উত্তরোত্তর বাড়ছে। প্রসঙ্গত, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, গোয়া ছাড়াও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ পর্যন্ত বিস্তৃত দীর্ঘ উপকূলবর্তী এলাকা রয়েছে। গুজরাত ঘেঁষে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তও। এই পথেই পাক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মাদক পাচার করা হচ্ছে।
অমিত শাহ মাদকের চোরাচালান উত্তরোত্তর বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করার পরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত রক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে। এও প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর নিজের রাজ্য গুজরাতের উপকূল দিয়ে কার গাফিলতিতে বাড়ল মাদকের চোরাচালান?
আরও পড়ুন: ইডির তলব এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা, গেলেন না দিল্লি
কী ধরনের মাদক জলপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকছে বৈঠকে তার ফিরিস্তিও পেশ করেছেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রচুর পরিমাণ হেরোইন ছাড়াও পাচার করা হচ্ছে আফিম ও গাঁজাও। এদিকে দেশের যুবসমাজকে মাদকের নেশা ধ্বংস করছে। আর মাদক চোরাচালান করে অসাধু উপায়ে যে বিপুল টাকা রোজগার করছে মাদক পাচারকারীরা তা বিনিয়োগ করা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে।