কলকাতা: পঞ্জাবে সঙ্গীত শিল্পী এবং কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে হেফাজতে নিল দিল্লি পুলিস। মঙ্গলবারই দিল্লি পুলিস তাকে তিহার জেল থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আদালতে পেশ করে। দিল্লি পুলিসই প্রথম জানিয়েছিল, তিন গ্যংস্টার গ্রেফতার হওয়ার পর সিধুকে বেশ কয়েকবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।বিষ্ণোই এবং কানাডার গোল্ডি ব্রাডের দলবলই সিধু খুনের ঘটনায় জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। তারা এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। লরেন্সের দুই সঙ্গী কালা জাঠেরি এবং কালা রানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিস।
মঙ্গলবারই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শুভদীপ ওরফে সিধু মুসেওয়ালার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পঞ্জাবের মানসা জেলায় নিজের গ্রামে। শেষ যাত্রায় হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিল্পীর মা এবং বাবা।
গত রবিবার মানসায় খুন হন সিধু। নিজের গাড়িতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের তিনটি গাড়ি তাঁর পথ আটকায়। অন্তত ৩০ রাউন্ড গুলি করা হয় তাঁকে লক্ষ করে। চালকের আসনেই তাঁর মৃত্যু হয়। সিধুর ওপর দুই সঙ্গী গুরুতর জখম হন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন Punjab Murder: পঞ্জাবে ফের খুন, স্ত্রী-কন্যাকে কুপিয়ে মেরে পলাতক সেনা জওয়ান
পুলিস সূত্রের খবর, একসময় এই লরেন্স বিষ্ণোই-ই খুনের হুমকি দিয়েছিল বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে। ২০১৮ সালে লরেন্সের বাহিনী সালমনকে হুমকি দিয়েছিল কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনায়। সেই সময় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের লোকজন সলমন এবং অন্যান্য অভিনেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। তারপরই সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।কৃষ্ণসার হরিণদের বিষ্ণোই সম্প্রদায় অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে।
২০১৭ সালে লরেন্সকে পুলিস গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে খুন এবং তোলাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির তিহার জেলে তাঁকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছিল। এদিন সেই জেল থেকে লরেন্সকে হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিস তদন্তের স্বার্থে।