কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেলেন কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান (Siddique Kappan)। ২০২০ সাল উত্তরপ্রদেশ সরকার (UP Government) তাঁকে গ্রেফতার করে। হাথরসে (Hathras) এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার খবর করতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনে (UAPA) মামলা করে যোগী সরকার।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI) ইউ ইউ ললিত (UU Lalit) তাঁকে জামিন দিয়ে বলেছেন, সিদ্দিক কাপ্পানকে আপাতত দিল্লিতেই থাকতে হবে। ৬ সপ্তাহ ধরে কাপ্পানকে নিজামুদ্দিন থানায় নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। কেরালায় ফিরে গেলেও তাঁকে স্থানীয় থানায় জানাতে হবে। সাংবাদিক কাপ্পানকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বিচারাধীন আদালতে পেশ করে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে জামিনের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Queen Elizabeth death: রানির শেষকৃত্যের জন্য তৈরি ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, কী রয়েছে এই গির্জায়!
কেরালার মল্লপুরমে ফিরে গেলেও সেখানেও কাপ্পানকে স্থানীয় থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুক্তির আগে তাঁকে তাঁর পাশপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মুক্তির সুযোগকে অপব্যবহার না করার কথাও বলে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানের সঙ্গে জঙ্গি যোগ আছে বলে সুপ্রিম কোর্টে কাপ্পানের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে যোগী সরকার। গত মঙ্গলবারই সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকার জামিনের বিরোধিতা করে বলে, কাপ্পান এক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। দেশে সন্ত্রাসের জাল বিস্তার এবং ধর্মীয় উসকানি ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টিকারী ব্যক্তি হলেন কাপ্পান।
এক হলফনামায় যোগী সরকার বলেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (PFI) গভীর যোগাযোগ আছে। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার(CFI) সঙ্গেও যোগ আছে কাপ্পানের। এই দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন কাপ্পান। তদন্তে দেখা গিয়েছে, জামিনের আবেদনকারী এক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ভাগীদার। কাপ্পান এবং তাঁর সহযোগী জঙ্গিদের অর্থ মদতদাতা রউফ এস হারিফ ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়েছেন।