ইসলামাবাদ: মধ্যরাতে টানটান উত্তেজনার মধ্যে নাটকীয় পতন হয়েছে ইমরান খান সরকারের৷ এবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পালা৷ আগামিকাল সংসদে পাক সংসদে স্থির করা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম৷ তবে পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শাহবাজ শরিফ৷ ইমরান খান পতনের পরই যিনি বলেছেন, ‘বদলার রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই’৷ জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ২টোর মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য মনোনয়ন জমা দিতে হবে৷ ৩টের সময় হবে স্ক্রুটিনি৷ সোমবার শুরু হবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া৷
কে এই শাহবাজ শরিফ? পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই৷ দেশের বাইরে খুব একটা পরিচিত তাঁর নেই৷ কিন্তু পাকিস্তানের রাজনীতিতে দক্ষ প্রশাসক বলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন শাহবাজ৷ ৭০ বছর বয়সী এই নেতা এতদিন বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলেছেন৷ রবিবার ভোররাতে আস্থা ভোটে ইমরানের পতনের পরই স্পিকার সবার প্রথমে অভিনন্দন জানান শাহবাজ শরিফকে৷ স্পিকারের অভিনন্দন বার্তা তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনাকে উস্কে দেয়৷
রাজনীতির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগসূত্র৷ পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজ শরিফ৷ সেই সময় তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা প্রকাশ পায়৷ পঞ্জাব প্রদেশে চীনের বিনিয়োগ করা বহু প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি৷ যদিও ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সেনাশাসন শুরুর পর বেশ কিছুদিন জেলে বন্দি ছিলেন৷ পরে নির্বাসনে সৌদিতে পাঠানো হয়৷ নির্বাসন কাটিয়ে ২০০৭ সালে শাহবাজ পাকিস্তানে ফিরে আসেন৷ তবে জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৭ সালে৷ পানামা কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর সভাপতি হন৷ এরপর ধীরে ধীরে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে৷ সেনাশাসন হোক কিংবা নির্বাচিত সরকার, পাকিস্তানের বিদেশনীতি এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করে থাকে পাক সেনাবাহিনীই৷ ইমরান খান পাকিস্তানের জন্য স্বাধীন বিদেশনীতি চেয়ে সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন হন৷
আরও পড়ুন: Imran Khan: মধ্যরাতে অনাস্থায় হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত ইমরান, ছাড়লেন ইসলামাবাদ