দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানালেন ধর্ষকরা যাতে জেল থেকে প্যারোলে না ছাড়া পায়৷ এজন্য মোদির কাছে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন স্বাতী৷
তবে এই দাবিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্ব দেবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকাটাই স্বাভাবিক৷ কেননা ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস বানু৷ মোট ১১জন বিলকিসকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি৷ বিলকিসের ৩ বছরের মেয়ের মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা৷
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে আদালত ধর্ষকদের জোড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও কিছুদিন আগেই ওরা সকলেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে৷ গণধর্ষণে অভিযুক্তদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি সংবর্ধিতও করা হয়েছে৷ সরকারের দাবি, গত ১৪ বছর ধরে জেলে থাকাকালীন সকলের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেছে ওরা৷ এটাই ওদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার মূল কারণ৷
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে৷ এছাড়া সাংবাদিক থেকে শুরু করে সমাজকর্মী ছাড়াও নানা মহল থেকে সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ১১জন গণধর্ষককে মোদি জমানায় কার্যত পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ৷
বিলকিসের গণধর্ষকদের পাশাপাশি আর এক দাগী অপরাধী ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমকে কেন ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে ছাড়া হল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল মোদিকে লেখা চিঠিতে এপ্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন৷
আরও পড়ুন: Student Molestation: টিউশন থেকে ফেরার পথে তরুণীর শ্লীলতাহানি, ব্লেড দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ
ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে বারংবার প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে৷ গত ফেব্রুয়ারিতেও এভাবে মুক্তি দেওয়া হয় ওকে৷ মোদির কাছে স্বাতীর দাবি, ওদেরকে অবিলম্বে ফের জেলে ফেরত পাঠাতে হবে৷